প্রতিনিধি ৩১ অক্টোবর ২০২২ , ১:৩৩:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ
(দিনাজপুর২৪.কম) অসদাচরণের দায়ে মো. সারোয়ার সালাম নামের প্রশাসন ক্যাডারের এক কর্মকর্তাকে ‘তিরস্কার’ সূচক লঘুদণ্ড দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তার বিরুদ্ধে বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও অপর একজন চাকরিজীবী নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। বিভাগীয় মামলা ও তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ২৭ অক্টোবর সারোয়ার সালামকে লঘুদণ্ড দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, ফেনীতে থাকার সময় মো. সারোয়ার সালামের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের ওই ঘটনা ঘটে। আর যখন অভিযোগ দেওয়া হয় তখন তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছিলেন। বর্তমানে সারোয়ার সালাম ঢাকার স্থানীয় সরকারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সারোয়ার সালামের বিরুদ্ধে বাঞ্ছারামপুরে চাকরিকালে মৌলভীবাজারের একটি উপজেলার একজন নারী কর্মকর্তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া ও নিজের স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন এবং আবার বিয়ে করার অনুমতির জন্য স্ত্রীকে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে বিভাগীয় মামলা ও ব্যক্তিগত শুনানি হয়। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিবকে দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা গত ১৯ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনিত সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) ২০১৮-এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগগুলোর মধ্যে উভয়পক্ষের লিপিবদ্ধকরা সাক্ষ্য, জবানবন্দি, জেরা ও দাখিলকরা প্রমাণগুলো বিস্তারিত ও পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনায় স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, অভিযুক্ত কর্মকর্তা বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও অপর একজন চাকরিজীবী নারীর সঙ্গে পরকীয়া ও অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই কর্মকর্তা দণ্ড পাওয়ার যোগ্য বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়। এ জন্য অভিযোগের মাত্রা ও প্রাসঙ্গিক সব বিষয় বিবেচনায় সারোয়ার সালামকে দোষী সাব্যস্ত করে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী ‘তিরস্কার’ সূচক লঘুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। -অনলাইন ডেস্ক