• Top News

    হত্যার রাজনীতির প্রধান হোতা বিএনপি: কাদের

      প্রতিনিধি ৩ নভেম্বর ২০২২ , ১০:৩০:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।ছবি: সংগৃহীত

    (দিনাজপুর২৪.কম) বিএনপি বাংলার হত্যার রাজনীতির প্রধান হোতা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হত্যা আর সন্ত্রাসের রাজনীতি দেশ থেকে চিরতরে বন্ধ করার কথাও জানান তিনি।

    আজ বৃহস্পতিবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলার হত্যার যে রাজনীতি তার প্রধান হোতা হচ্ছে বিএনপি। তারাই (বিএনপি) বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যা ও ২১ আগস্টে গ্রেনেড মেরে নেতাকর্মীদের হত্যাকারী।’

    তিনি বলেন, ‘আমরা আজ এই কথা বলতে চাই- রাজনীতিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে আমাদের চেতনায় লালন করি, পালন করি; এজন্য আমাদের বাংলার হত্যার রাজনীতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চিরতরে বন্ধ করতে হবে। সেই লড়াই আমাদের চলছে।’

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সেই ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দুনিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যা। গোটা পরিবারকে নিঃসঙ্গ করে দেওয়াই ছিল তাদের লক্ষ্য। সেদিন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছিলেন বিদেশে। ৩ নভেম্বর জেলের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা ছিল ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতা। এই হত্যার অপরাজনীতির ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ২৩টি তাজা প্রাণে রক্তাক্ত হয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ। তাদের প্রধান টার্গেট ছিল তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    এ সময় জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করার জন্য যে দাবি উঠেছে সেটি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত বলে জানান সেতুমন্ত্রী।

    জাতীয় চার নেতার অন্যতম তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে, সাবেক প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় দিবস করার দাবিতে সোমবার স্পিকার বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছিলেন।

    জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস করার দাবি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সে দাবি করতেই পারে। এটা একটা বিষয় না। আসলে আমাদের এত দিবস, সেটা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত বিষয়।’ -নিউজ ডেস্ক

    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

    আরও খবর

    Sponsered content