• Top News

    দূতাবাসমুখী রাজনীতি

      প্রতিনিধি ১৮ নভেম্বর ২০২২ , ১:০৬:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    (দিনাজপুর২৪.কম) দেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তত বেশি বিদেশি দূতাবাসকেন্দ্রিক হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন নির্বাচনকে ঘিরে রাজনীতি এখন দূতাবাসমুখী।
    রাজনীতিকসহ আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরোদস্তুর রাজনীতি এখনও দূতাবাসমুখী হয়নি, তবে ঝুঁকি আছে। নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ বা দেশীয় রাজনীতিকদের বিদেশিদের কাছে ধরনা দেওয়া এখানে নতুন কিছু না, যা এবারও দেখা যাচ্ছে। তবে সরকারবিরোধী এবং সরকারি দলসহ সবাই বলছেন, বিদেশিরা আগে হস্তক্ষেপ করলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি, এবারও হবে না, উল্টো এখানে জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিজেদেরই সমাধান করতে হবে। ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টার, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত এনি ভন লিউয়েন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি গত ২৪ জুলাই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক নিয়ে জার্মানির রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘স্বাগতিক দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা কূটনীতিকদের প্রধান দায়িত্ব।’ নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘স্বাগতিক দেশের পরিস্থিতি বোঝার জন্য এবং উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে একজন কূটনীতিক সব অংশীদারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে সবসময়ই চেষ্টা করেন।
    এর আগে, গত ২ জুন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে তার বাসভবনে সুশীল সমাজের পাঁচ প্রতিনিধিকে মধ্যাহ্নভোজের আমন্ত্রণ জানান। পশ্চিমা বিশ্ব এবং ইউরোপভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা নির্বাচন নিয়ে দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন।

    সর্বশেষ গত সপ্তাহে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদের নিয়ে একসঙ্গে নির্বাচন ইস্যুতে গত ৭ নভেম্বর ঢাকা সফররত মার্কিন সহকারী উপমন্ত্রীর বৈঠক করতে দেখা গেছে।

    পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, দেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব যতটা আগ্রহী, পুবের দেশগুলো এবং আরব বিশ্বের দেশগুলো এই ইস্যুতে তেমন কোনো আগ্রহ প্রকাশ করছে না। তবে গত সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নির্বাচন ইস্যুতে মন্তব্য করেন। এ জন্য গত মঙ্গলবার জাপানের দূতকে ডেকে নিয়ে কথা বলেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
    সার্বিক প্রেক্ষাপটে নির্বাচনকে ঘিরে রাজনীতি এখন দূতাবাসমুখী হয়ে পড়েছে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব এবং রাষ্ট্রদূত মো. মাহফুজুর রহমান এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘এই সময়ের প্রেক্ষাপটে নির্বাচন নিয়ে দেশের রাজনীতি সম্ভবত দূতাবাসমুখী হয়ে পড়ছে না। এর আগে ২০০৬-০৭ সালে বিদেশি কূটনীতিকদের সংশ্লিষ্টতা যেমন ছিল এবার তেমন হবে না। তবে ওই মডেলটা সামনে নিয়েই তারা এগোচ্ছে। আমাদের রাজনীতিকরাও ওই মডেল সামনে নিয়ে এগোচ্ছে। কারণ হচ্ছে, তারা মনে করছে যে এটাই পসিবল ওয়ে, আউট অথবা সরকারের পরিবর্তন আনার জন্য এটাই ভালো পন্থা, নির্বাচন সুবিধাজনক পথ না। ২০০১ সালের নির্বাচন ছাড়া আমাদের দেশে সবসময়ই সরকার বদলের সময় সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো মনে করে যে ক্ষমতা বদলের জন্য কারও হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে এখন আর সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের গ্রহণযোগ্যতা নেই, তাই রাজনৈতিক দলগুলো দূতাবাসের ওপর নির্ভর করছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনে নাক গলানোর জন্য বিদেশি দূতাবাসগুলোর সক্ষমতা সৃষ্টি হয়েছে। যেহেতু আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের মধ্যে আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়েছে তাই বিদেশিদের সক্ষমতা শক্ত হয়েছে। তবে এমন পরিস্থিতিতে বিদেশিদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর অনেক সময় অপ্রকাশিত আঁতাত হয়ে থাকে, যেখানে দেশের জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন হওয়ার ঝুঁকি থাকে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনীতিক ও বিদেশি কূটনীতিকদের এখন যে পরিস্থিতি তা সামনে আরও জটিল হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে রাজনীতিবিদ, আমলা ও সাংবাদিকসহ সবাইকেই সংযত আচরণ করতে হবে। কেননা দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বিদেশি হস্তক্ষেপ দেশের জন্য অপমানজনক।’

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘না, রাজনীতি দূতাবাসমুখী নয়। এটা নতুন কিছু না যে আমাদের নির্বাচন নিয়ে বিদেশিরা কথা বলে। এটা আগেও হয়েছে, এখনও হচ্ছে। এখানে দুটি বিষয় যেটা দেখা দরকার যে এই বিদেশিদের কথা বলার প্ল্যাটফর্ম আমাদের দেশের লোকজনই সৃষ্টি করে দিচ্ছে। যারা এমনটা করছে তারা বুঝে-শুনে করছে কি না তা আমার জানা নাই। কারণ হচ্ছে, যারা এমন করছে তারা হয়তো বাংলাদেশের ইতিহাস জানে না।’

    সাবেক মন্ত্রী এবং অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন, ‘রাজনীতি দূতাবাসমুখী হওয়ার কোনো কিছু নাই। বিশ্বায়নের এই যুগে এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের সংযোগ এখন এত বেশি যে সব দেশেরই অন্য দেশের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে, সবাই সব বিষয় জানতে চায় এবং সব বিষয় নিয়ে চিন্তা করে। একটা দেশ যদি শ্রীলঙ্কার মতো হয়ে যায়, তবে বিশ্বের সবারই সমস্যা হয়। একটা জায়গায় যুদ্ধ লাগলে, যেমন রাশিয়া-ইউক্রেন, তাহলে সারা বিশ্বই আক্রান্ত হয়।’
    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘আমরা দেখছি যে এই সময়ে দেশের রাজনীতিকরা হঠাৎ করেই কূটনীতিকপাড়ায় যোগাযোগ করছে। আমার মতে, এটা একেবারেই অযৌক্তিক।’
    বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘রাজনীতি কখনোই দূতাবাসমুখী হচ্ছে না। আমরা যেটা বলছি যে বাংলাদেশে আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই, কথা বলার স্বাধীনতা নেই, এই বার্তা আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে গেছে। যে কারণে সারা বিশ্ব বাংলাদেশে একটি স্বাধীন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে এবং সরকার তাদের অধীনেই নির্বাচন করার একগুঁয়েমি করছে, তখন স্বাভাবিকভাবেই দেশের বাইরে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ দেখতে চায় বলেই তারা একাধিকবার কথাবার্তা বলছে। আমরা কখনোই দূতাবাসমুখী হচ্ছি না। বিভিন্ন রাষ্ট্রদূত আমাদের কাছে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি জানতে চেয়েছে, পরিস্থিতি উত্তরণে আমাদের কী করণীয় তা তারা জানতে চেয়েছে এবং আমরা দূতাবাসমুখী হচ্ছি না, তারাই আমাদের কাছে এসে জানতে চাচ্ছে এবং তারা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের কাছ থেকে অবহিত হচ্ছে।’

    দেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশি দূতাবাসগুলো কোনো মেকানিজম ক্রিয়েট বা প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা রাখে কি না, জানতে চাইলে মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘পারে। এতদিন পারে নাই, এবার পারবে। কারণ হচ্ছে অর্থনৈতিক সংকট। অর্থনীতিতে আমরা ভালরানেবল পরিস্থিতিতে চলে আসছি, রিজার্ভ নিয়ে শঙ্কা দেখা যাচ্ছে, ব্যাংকে কারেন্সির সংকট দেখা যাচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের কারণে ব্যাংকে এলসি খোলা যাচ্ছে না ইত্যাদি সবকিছু মিলিয়ে একটা ভয় আছে। এই ভয়ের কারণেই দূতাবাসগুলো সুযোগ নিতে চাইছে। বাস্তবতা হচ্ছে যে কমবেশি সবাই মনে করছে বিশেষ করে যারা দেশের বাইরে আছে বা যারা সরকারের বাইরে আছে, তারা মনে করছে যে বিএনপিকে বাইরে রেখে অথবা মেজর রাজনৈতিক দলগুলোকে বাইরে রেখে এখানে কোনোভাবেই গণতন্ত্রের চর্চা করা সম্ভব না। একটা রাজনৈতিক দল সরকারে কর্তৃত্ব করলে এখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব না। আবার যেসব দল সরকারের বাইরে আছে তাদের জনপ্রিয়তা রয়েছে। কিন্তু এই দেশে নির্বাচনের মেকানিজমটা এমন যে অন্য রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয়তা থাকলেও তা নির্বাচনে প্রতিফলিত হয়নি বা হবে না। এ জন্যই বিদেশিরা নাক গলানোর সুযোগ পাচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো থাকলে তারা এই সুযোগ পেত না এবং সরকারও তাদের পাত্তা দিত না।’

    ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাস বলে, দেশের গণতন্ত্র দুর্বল বা নড়বড়ে যা-ই হোক না কেন, তা বিদেশিরা ঠিক করতে পারবে না, দেশের মানুষই তা ঠিক করবে। যারা বিদেশিদের এমন প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি করে দিচ্ছে তাদের নিজস্ব স্বার্থ থাকতে পারে। বাইরের কূটনীতিক দিয়ে এই দেশের গণতন্ত্র ঠিক করা গেলে বাংলাদেশে গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটত না। আমাদের পরিপক্বতার অভাবের কারণেই বিদেশিরা সুযোগ পাচ্ছে।’
    অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের কোনো হস্তক্ষেপ করার সক্ষমতা আছে কি না এটা আমি জানি না। তবে আমরা এখনও আত্মনির্ভরশীল না। সে জন্য আমরা বিশ্ব শান্তি মিশনে লোক পাঠাচ্ছি, রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভর করছি, বিদেশি সংস্থাগুলোর থেকে ঋণ নিচ্ছি, এ জন্য আমরা অনেক বাইন্ডিংসের মধ্যে সামাজিক, অর্থনৈতিকভাবে এবং বিশ্বায়নের ব্যাপারে জড়িয়ে আছি। সে জন্য বিদেশিরা প্রভাব বিস্তার করতে পারে।’
    মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। সমস্যা সমাধানে আমাদেরই কাজ করতে হবে। বাইরের কেউ এসে সমাধান করতে পারবে না এবং তাদের সুযোগও নেই। তার পরও দেখি যে আমাদের অনেক রাজনীতিক তাদের পেছনে দৌড়াদৌড়ি করে।’
    নির্বাচন ইস্যুতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদেরও বিদেশিদের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গেছে। বিষয়টা নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি যে যুক্তরাষ্ট্রের একজন সহকারী প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এলে, সে উপলক্ষে মার্কিন দূতাবাস থেকে একটি সৌজন্য সাক্ষাতের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। কোনো দেশ থেকে কেউ সফরে এসে বসতে চাইলে বা সাক্ষাৎ করতে চাইলে তা করা যায়।’

    সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘এমনটা কখনোই কাম্য নয়। আমরা মনে করি যে আমাদের দেশের সংকট আমরাই নিরসন করতে পারব। কিন্তু সরকার যখন নির্বাচন ইস্যুতে একগুঁয়েমি করে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দূরত্বের সৃষ্টি করে এবং গণতন্ত্রের সংকট বা দুর্বলতা দেখা যায়, তখনই বিদেশি শক্তিরা এখানে কথা বলা বা হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পায়। আজকে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ সরকারই করে দিচ্ছে, আমরা করছি না। ২০০১ সালের পরও এই আওয়ামী লীগ বিদেশমুখী হয়েছিল, তাদের কাছে ধরনা দিয়েছিল, তাদের সঙ্গে ব্রেকফাস্ট, মিটিং-লাঞ্চ মিটিং এগুলো করেছে। তখন আওয়ামী লীগ বিদেশিদের টুয়েসডে গ্রুপ সৃষ্টির ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘসহ বিদেশিদের কাছে আওয়ামী লীগ তখন সরকারবিরোধী লবিং করেছে। বিদেশিদের কাছে ধরনা দেওয়া আওয়ামী লীগই শুরু করেছিল, আমরা শুরু করিনি।’ আগেও বিদেশিরা দেশের নির্বাচন নিয়ে নাক গলিয়েছে কিন্তু তাতে ইতিবাচক কিছু ঘটেছে কি, জানতে চাইলে মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘না। যেটা হয়েছে সেটা খুবই সাময়িক একটা পরিবর্তন, স্থায়ী কোনো পরিবর্তন হয়নি। কারণ হচ্ছে এমন পরিবর্তন একটা সমাজের ভেতর থেকে আসতে হয়।’

    ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘তাদের হস্তক্ষেপ যতটা কাজ করে, তার থেকে ক্ষতি বেশি হয়। আমি মনে করি না যে এতে কোনো লাভ হয়। বরং বিদেশিরা তাদের পক্ষে এতে কিছু সুবিধা নিয়ে থাকে।’ -অনলাইন ডেস্ক
    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।