প্রতিনিধি ২০ নভেম্বর ২০২২ , ১:৩৭:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ নজরুল ইসলাম (দিনাজপুর২৪.কম) অন্যান্য ফসলের তুলনায় অধিক লাভজনক হওয়ায় বিরামপুর উপজেলার অনেক কৃষক শবজি চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে এবং ফলনও হয়েছে ব্যাপক। কৃষি বিভাগের লক্ষ্য মাত্রার অধিক জমিতে শবজি চাষ করায় উৎপাদিত শবজি রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় চালান হচ্ছে।
জানা গেছে, বিরামপুর উপজেলার পৌর এলাকা ও মুকুন্দপুর, কাটলা, পলিপ্রয়াগপুর ও জোতবানী ইউনিয়নের পলি ও বেলে দো-আঁশ মাটি শবজি চাষের জন্য বিশেষ উপযোগি। ঐসব এলাকার চাষীরা অন্যান্য ফসলের তুলনায় অধিক লাভজনক হওয়ায় এখন শবজি চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়েছেন। চলতি শীত মৌসুমে কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে কৃষকরা শবজির আবাদ করেছেন। উপজেলায় উৎপাদিত বাঁধাকপি, ফুলকপি, মুলা, বেগুন, বরবটি, লাউ, সীম ও বিভিন্ন প্রকারের শবজি এলাকার চাহিদা মিটিয়ে চালান হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
পৌর এলাকার দাশআড়া গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম জানান, শবজি চাষে অধিক লাভের কথা শুনে তিনিও এবার প্রথম ১৮ শতাংশ জমিতে ফুলকপির চাষ করেছেন।
উপজেলার মুকুন্দপুর এলাকার চাষী হায়দার আলী জানান, তার জমিতে ফুলকপির ব্যাপক ফলন হয়েছে। শনিবার বিরামপুর হাটে তিনি পাইকারদের নিকট এক হাজার টাকা মণ দরে ফুলকপি বিক্রি করেছেন। এলাকায় শবজি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগণ মাঠ পর্যায়ে নিবিড় ভাবে চাষীদের পরামর্শ দিচ্ছেন।
শবজি ব্যবসায়ী আলম হোসেন জানান, অন্যান্য এলাকার চেয়ে বিরামপুরে শবজির দাম কিছুটা কম। তাই তিনি বিরামপুর হাট থেকে বিভিন্ন প্রকারের শবজি কিনে ট্রাকযোগে রাজধানীতে চালান করেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল জানান, বিরামপুর উপজেলার পৌর এলাকা ও অন্যান্য ইউনিয়নে এবার ১২শ’ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। কিন্তু শবজি চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে শবজি চাষ করেছেন এবং এই রোপন এখনও চলমান রয়েছে। উপজেলা কৃষি দপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ নিয়মিত ভাবে চাষীদের প্রয়োজন মাফিক পরামর্শ ও কারিগরী সহায়তার মাধ্যমে শাক-শবজির ভালো ফলনে বিশেষ ভ’মিকা রাখছেন।