প্রতিনিধি ২২ নভেম্বর ২০২২ , ৪:৩৩:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ
(দিনাজপুর২৪.কম) দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঢয়াকা আদালত চত্বরের নিরাপত্তা জোরদার করতে এর হাজতখানায় ৬০টি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট যুক্ত করা হয়েছে। আদালতে এখন থেকে বড় সন্ত্রাসী কিংবা জঙ্গি আসামি আনা–নেওয়ার সময় পুলিশ সদস্যরা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরবেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আদালতের পুলিশকে ৩০টি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও ৩০টি হেলমেট দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন বলেন, ‘দুই জঙ্গি আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার পর থেকে আমাদের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা আরও অনেক বেশি সতর্ক।’
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ‘দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার পর থেকে আদালতে পুলিশের উপস্থিতি বেশি দেখতে পাচ্ছি। এ ধরনের নিরাপত্তা যদি সারা বছর থাকে, তাহলে বিচারক, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী অনেক উপকৃত হবেন। জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়া কিংবা অন্য কোনো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কমে যাবে।’
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাকিম বলেন, ‘আমরা আগের থেকে অনেক সতর্ক।’
গত রোববার ঢাকার সিজেএম ভবনের ৮ তলার ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে মোহাম্মদপুর থানার এ মামলা চার্জগঠনের জন্য ছিল। সেজন্য পালিয়ে যাওয়া মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেলসহ কারাগারে থাকা ১২ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। হাজিরা শেষে চারজনকে ঢাকা সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নেওয়ার জন্য নিচে নামিয়ে ভবনের মূলগেটের বাইরে নিয়ে আসেন চার জন পুলিশ।
ওই সময় দুটি মোটরসাইকেলে চার অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী প্রথমে পুলিশের চোখে স্পে মারে। এরপর একজন পুলিশ সদস্যকে মারধর করে দুজনকে নিয়ে চলে যায়। আহত পুলিশ সদস্য নূরে আজাদ। পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গি জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
এ ঘটনায় ডিএমপির কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় ১০ আসামির ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। -নিউজ ডেস্ক