• Top News

    নতুন বছরে প্রাথমিকে সাড়ে ৩৭ হাজার শিক্ষক পদায়ন

      প্রতিনিধি ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ , ১০:৫১:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    -পুরনো ছবি

    (দিনাজপুর২৪.কম) নতুন বছরের শুরুতে সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাবে সাড়ে ৩৭ হাজার সহকারী শিক্ষক। যদিও শূন্য পদের বিপরীতে সহকারী শিক্ষক হিসেবে প্রথমে ৩২ হাজার ৫০০ শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু পরে শূন্য পদের সংখ্যা বাড়ায় এখন আরো পাঁচ হাজার পদ বাড়িয়ে মোট ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ দেখিয়ে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার এই ফল প্রকাশ করা হয়।

    সূত্র মতে, গতকাল দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.mopme.gov.bd) এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইটে (www.dpe.gov.bd) ফলাফল প্রকাশ করা হয়। যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাদের মুঠোফোনেও ফলাফল এসএমএস করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। নির্বাচিত প্রার্থীদের আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব সনদের মূলকপি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তিন কপি, পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম (যথাযথভাবে পূরণকৃত), সিভিল সার্জন কর্তৃক প্রদত্ত স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততার সনদসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন বছরের শুরুতেই নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের পদায়ন করা হবে বলেও জানা গেছে।

    প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির অনুমোদিত পদ অনুসারে ৩২ হাজার ৫৭৭ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার কথা থাকলেও এটি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। চলতি বছরের মার্চে মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সাংবাদিকদের বলা হয়েছিল, ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নেয়া হবে। অবসরের কারণে ১০ হাজারের বেশি পদ খালি হওয়ায় পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

    কিন্তু লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের আগে পদসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়। পদ বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করেন চাকরি প্রার্থীরা। চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চসংখ্যক শূন্য পদে নিয়োগ এবং পদসংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে ৬১ জেলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে স্মারকলিপিও দেন চাকরিপ্রার্থীরা। এর আগে গত ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রকৃত শূন্য পদ যাচাই-বাছাই শেষে ১৪ ডিসেম্বর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। এখন বিজ্ঞপ্তির অনুমোদিত পদের সাথে পাঁচ হাজার পদ বাড়ানো হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী। নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেয়া হলেও চূড়ান্ত ফলাফল একবারেই প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন। -নিউজ ডেস্ক

    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

    আরও খবর

    Sponsered content