অডিও কেলেঙ্কারিতে মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ হারানো জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসান আবারও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চান। এজন্য দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ‘সাধারণ ক্ষমার’ আবেদন করেছেন। ভবিষ্যতে এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে দলের সম্মানহানি হয়— চিঠিতে সেই প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয়ে তিনি এই আবেদন করেন।
আবেদনপত্রে মুরাদ হাসান উল্লেখ করেছেন, তার বাবা মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদার ছিলেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি। আওয়ামী লীগের দলীয় সব কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ চেয়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগের সভাপতির সম্মানহানি হয় এমন কোনো কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে না করারও দৃঢ় অঙ্গীকার করেছেন মুরাদ হাসান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মুরাদ হাসান বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে যাদের দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল, আমাদের দলীয় কার্যালয় থেকে মৌখিকভাবে তাদের কাছ থেকে আবেদন চাওয়া হয়েছে। লিখিত কোনো কাগজ পাইনি। আমি আবেদনপত্র জমা দিয়েছি।’
জামালপুর-৪ সরিষাবাড়ী আসনের সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসান। বর্তমানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য। একজন চিত্রনায়িকার সঙ্গে ফোনালাপকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন মুরাদ হাসান। একইদিন তাঁকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর নির্বাচনী এলাকা সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া জন্মস্থান আওনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।
দল থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর থেকে নির্বাচনী এলাকায় দলীয় কোনো কর্মকাণ্ডে মুরাদ হাসানকে রাখা হয়নি। গত ২৫ সেপ্টেম্বর সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনেও তাঁকে ডাকা হয়নি। -ডেস্ক রিপোর্ট