প্রতিনিধি ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ , ১১:৪০:২০ প্রিন্ট সংস্করণ
(দিনাজপুর২৪.কম) দিগন্ত বিস্তৃত হলুদে ছেয়ে গেছে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার ফসলি মাঠ। চারদিকে হলুদের সমারোহ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলায় এবার সরিষার ব্যাপক আবাদ হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল বারি সরিষা ১৪, ১৭ ও বিনা ৯ সহ বিভিন্ন প্রজাতির সরিষার আবাদ হচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষা চাষ করেছেন চাষিরা। এ বছর সরিষায় বাম্পার ফলন হবে বলে আশা তাদের।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় গত বছর সরিষা চাষ হয়েছিল ৬২ হেক্টর। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪০ হেক্টর। যা গতবছরের তুলনায় এ বছর ৭৮ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ বেশি হয়েছে।
পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বৈঠারপাড় গ্রামের কৃষক জহির উদ্দিন জানান, এ বছর তিনি ৩৩ শতক জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার রোগবালাই দেখা দেয়নি। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে ফলন ভালো হবে।
জায়লস্কর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের কৃষক নুর নবী ১ একর জমিতে বারি ১৪ জাতের সরিষা আবাদ করেছেন। তিনি বলেন, ‘সরিষা আবাদের পরই জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা যায়। এতে জমিতে সার কম লাগে। তাছাড়া সরিষার পাতা ও শিকড় সবুজ সারের কাজ করে এবং বোরো ধানের ফলনও ভালো হয়।’
মাতুভূঞা ইউনিয়নের সরিষা চাষি জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘৫ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। গত বছরের তুলনায় ফলন বেশি হওয়ার আশঙ্কা করছি। সরিষা চাষ শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ক্ষতির সম্ভাবনা দেখছি না।’
এবিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মারুফ বলেন, ‘সরিষার চাষে খরচ কম, লাভ বেশি। তাছাড়া সহজেই বিক্রি করা যায়। সরিষার আবাদ ঘরে তোলার পর ওই জমিতেই আবার কম সারে বোরো ধানের চাষ করা যায়।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মহিউদ্দিন মজুমদার বলেন, ‘এবারে উপজেলায় বিগত বছরের তুলনায় বেশি পরিমাণ জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। যথা সময়ে জমি চাষ যোগ্য হওয়ায় এলাকার কৃষকরা সুযোগ বুঝে সরিষা চাষ করেছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোনো প্রকার ক্ষতি না হলে উপজেলায় সরিষা আবাদের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। শুধু তাই নয় সরিষা চাষের জমিগুলো উর্বরতা বেশি থাকায় কৃষকরা বোরো চাষেও এর সুফল পাবে।’ -নিউজ ডেস্ক