• Top News

    নাদিয়াকে বাসচাপা : বিমানবন্দর সড়কে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, যান চলাচলে ধীরগতি

      প্রতিনিধি ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ , ২:০৫:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    ছবি-সংগ্রহীত

    (দিনাজপুর২৪.কম) বাসচাপায় নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাদিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কাওলা ব্রিজের নিচে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন। এদিন শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধের কারণে খিলক্ষেত থেকে উত্তরাগামী রাস্তার যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। তবে দুপুর ১টার দিকে দেখা যায় দূরপাল্লার বাসগুলোর জন্য আলাদা একটি লেন করে সেগুলো ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত যানবাহন ও জরুরি সেবার বিভিন্ন গাড়িকেও যেতে দিচ্ছেন তারা।

    অবরোধ কর্মসূচিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো- ভিক্টর ক্লাসিক বাসের রুট পারমিট বাতিল করতে হবে, নিহত নাদিয়ার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, চালক ও হেলপারের গ্রেপ্তারের বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রমাণ দিতে হবে এবং কাওলা এলাকায় একটি বাস স্টপেজ করতে হবে।

    এর আগে গতকাল দুপুর পৌনে ১টায় প্রগতি সরণিতে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন নাদিয়া। মাত্র দু’সপ্তাহ আগে নর্দান ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।

    জানা গেছে, এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে প্রগতি সরণি এলাকায় গিয়েছিলেন নাদিয়া। তাদের মোটরসাইকেলটিকে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাস চাপা দেয়। এতে নাদিয়া মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় পড়ে বাসের সামনের চাকায় পিষ্ট হন। তার মোটরসাইকেল চালক বন্ধু অক্ষত ছিলেন।

    নাদিয়ার মৃত্যুর পর গতকালও দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আশরাফ জাহিদ বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী মারা গেছে কিন্তু এ বিষয়ে কারো কোনো দায়িত্ব নেই? আমাদের ৪ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত রাস্তা ছাড়ব না।’

    এদিকে আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে বাড্ডার আনন্দনগর থেকে ঘাতক বাসের চালক লিটন ও সহকারী আবুল খায়েরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘাতক বাসটিও জব্দ করা হয়েছে। এর আগে গতকাল রোববার রাতে ভাটারা থানায় বাসের অজ্ঞাতপরিচয় চালক ও হেলপারকে আসামি করে মামলা করেন নাদিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর আলম, যার নং ৪৬। গ্রেপ্তার চালক মো. লিটন ও হেলপার আবুল খায়েরের বাড়ি ভোলায়। গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আ. আহাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। -নিউজ ডেস্ক

    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

    আরও খবর

    Sponsered content