প্রতিনিধি ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ১২:৪৭:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ
(দিনাজপুর২৪.কম) নিম্নবিত্তদের জীবনযাপন উন্নত করতে কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকার বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রোববার রাজধানীর মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভার এবং ইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর পর্যন্ত ৬ লেনে উন্নীত সড়কের উদ্বোধনী শেষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। কালশী বালুর মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণ বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল। দুর্নীতির মিথ্যা অপবাদ দিতে চেয়েছিল। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার প্রতিজ্ঞা করি। আমি ধন্যবাদ জানাই আমার দেশের মানুষকে। তারা আমার পক্ষে ছিল। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে, আমরা ইচ্ছা করলে পারি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জনগণের সুবিধার দিকে লক্ষ্য করেই পরিকল্পনা করি। ঢাকা সিটি করপোরেশনকে বিভক্ত করে দেই। বিভক্তির পর দুই সিটিতে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা খরচ করে নানা উন্নয়ন প্রকল্প করা হয়েছে। দক্ষিণে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য ফ্ল্যাট করে দিয়েছি। উত্তরেও করে দেবো। উর্দুভাষীদের জন্যও হবে। একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না।
বিশ্বব্যাংক প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, `যমুনা নদীর ওপর সেতু করতে যাই। তখন রেলসেতুও সংযুক্ত করতে চাই। বাধা দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। তারা বলেছিল, সেটা লাভজনক হবে না। এখন আবার বিশ্বব্যাংকই ফিরে এসেছে, যমুনা নদীতে রেলসেতু করতে। আমি অনুমতি দিয়েছি। কিন্তু, আমাদের মনে রাখতে হবে, দেশটা আমাদের। কোথায় কী হবে, হবে না। কী লাগবে, লাগবে না। এটা আমরাই ভালো বুঝি। এই ধারণাটা আমাদের থাকতে হবে।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সে সময় জার্মানিতে ছিলাম বলে বেঁচে গিয়েছিলাম। সংবিধান লংঘন করে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা আমাদের দেশে আসতে দেয়নি। জনগণের ব্যাপক সমর্থন নিয়ে আমি দেশে ফিরে আসি।’
তিনি বলেন, ‘খুনিদের পুরস্কার করা হয়। যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায় ছিল, তা সত্বেও আমি একটি লক্ষ্য নিয়ে এই দেশে ফিরে আসি। বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে গড়ে তুলতে হবে। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে। সেটাই ছিল আমার লক্ষ্য।’ -ডেস্ক রিপোর্ট