• Top News

    খালেদা জিয়া সময় হলে রাজনীতি করবেন: মির্জা ফখরুল

      প্রতিনিধি ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৬:১৪:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

    জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল। ছবি: সংগ্রহীত

    (দিনাজপুর২৪.কম) খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করা প্রসঙ্গে সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার যখন রাজনীতি করার সময় আসবে, উনি রাজনীতি করবেন।’

    আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন।

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। তাঁকে নিয়ে সরকার বিভিন্নভাবে নাটক শুরু করেছে। তাদের মন্ত্রীরা একদল বলেন খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন না। আরেক দল বলেন তাঁর রাজনীতি করতে বাধা নেই। হঠাৎ করে আপনাদের এত দরদ উথলে উঠল কেন? আপনাদের উদ্দেশ্য একেবারেই ভালো না। খালেদা জিয়ার যখন রাজনীতি করার সময় আসবে, উনি রাজনীতি করবেন। তিনি কারাগারে থাকুক আর যেখানেই থাকুক, তিনি অবশ্যই রাজনীতি করবেন। আপনাদের এই সমস্ত কথা বলার কোনো প্রয়োজন নেই। খালেদা জিয়ার রাজনীতির সিদ্ধান্ত তিনি নিজে এবং দল নেবে।’

    একেক সময় একেক কথা বলে সরকার দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায় জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তারা দেশের মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে চায়। আমাদের দৃষ্টি এখন একটাই, আমরা আমাদের অধিকার ফেরত চাই। আমাদের ভোটের অধিকার ফেরত চাই। এই সরকারকে আমরা আর দেখতে চাই না। এই সরকারকে এই মুহূর্তেই পদত্যাগ করে সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে।’

    আওয়ামী লীগের শরিক বাম দলগুলোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালে বিনা ভোটে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ জনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে। আর আমাদের জাতীয় পার্টি ডুগডুগি বাজিয়ে তাদের সঙ্গে যোগ দিল। শুধু জাতীয় পার্টি নয়, বাম দলের প্রখ্যাত নেতারাও নৌকার সঙ্গে মহাজোট করে সেদিন নির্বাচনে চলে গিয়েছিল। এরা আওয়ামী লীগের চেয়েও খারাপ। তাদের যা বলার দরকার, তা তারা বলে না।’

    তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘তারা বলে সংবিধানে নেই, তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার করা যাবে না। আর আপনারা যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলে ১৭৩ দিন হরতাল করেছিলেন, তখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানে ছিল না। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যখন দেখেছেন, জনগণ এটা চায়। এটা করলে রাজনৈতিক সমস্যা-সংকটের সমাধান হবে। তখন তিনি জাতীয় সংসদে বিশেষ অধিবেশন বসিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস করে সংবিধানে সংযুক্ত করেছিলেন।’

    তাঁতিদের সমস্যা-সংকট নিয়ে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দল মানেই শুধু কমিটি করা বা সদস্য তৈরি করা নয়। তাঁতী দলের তাঁতশিল্প ও তাঁতিদের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্য নিয়ে আন্দোলন করতে হবে। আমি খুব খুশি হব, তাঁতী দল যদি তাঁতিদের সমস্যা নিয়ে আন্দোলন শুরু করে। আপনারা আপনাদের সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করুন। কীভাবে তাঁতি ও তাঁতশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখবেন, সে জন্য কাজ শুরু করুন। শুধু মূল দলের সঙ্গে রাস্তায় নেমে স্লোগান দিলে আপনার রাজনীতি হবে না, আপনার কাজ হবে না।’

    জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বগুড়া-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, ওলামা দলের আহ্বায় মাওলানা নেছারুল হক, সদস্যসচিব নজরুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনির প্রমুখ। -নিউজ ডেস্ক

    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

    আরও খবর

    Sponsered content