(দিনাজপুর২৪.কম) করোনা ভাইরাস মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। এই সময় একটি পূর্ণাঙ্গ সিনেমার জন্য আমরা যে অনুদান দিচ্ছি সেটা কিন্তু যথেষ্ট না। সিনেমা নির্মাণে সরকারি অনুদান বাড়ানো হবে। বর্তমানে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার জন্য ২৫ লাখ ও স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার জন্য ২০ লাখ টাকা অনুদান দেয় সরকার। আগামী বাজেটে আমি নিজে এটা বাড়ানোর উদ্যোগ নেবো।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ২৭ ক্যাটাগরিতে এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দেখেছি সবার মাঝে আলাদা একটা মেধা ও চিন্তাশক্তি আছে। একটা আর্টিস্টিক ও শৈল্পিক মেধা আছে। তাদের মাধ্যমে জীবনধর্মী সেসব সিনেমা তৈরি হয়, সেগুলো মানুষকে আকর্ষিত করে। একটা সিনেমা একজন মানুষে জীবনকে পাল্টে দিতে পারে, একটা সমাজকে পাল্টে দিতে পারে। এ ধরণের সিনেমা তৈরিতে মনোযোগ দিতে হবে। অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও চলচ্চিত্রজগতের সবাই অনেক পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, এ জন্য সবাইকে সাধুবাদ জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যারা পুরস্কার পেয়েছেন, তাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা। এটা আমাদের স্বাধীনতার মাস। এই দেশের অভ্যুত্থানের সঙ্গে মার্চ অত্যন্ত গভীরভাবে মিশে আছে। ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন, ৭ মার্চ তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস; এই মাসে আপনাদের সামনে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। বঙ্গবন্ধু শুধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে যাননি, আজকে যে সিনেমা শিল্প গড়ে উঠেছে, এর সূচনা করেছিলেন তিনি।’ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ডা. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। স্বাগত বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন। -নিউজ ডেস্ক