• Top News

    ৯৯৯ ফোন দিয়ে বাঁচলো অনেকের প্রাণ : এবার দিনাজপুরে কাদিয়ানিদের মসজিদে ঢুকে মুসল্লীদের উপর হামলা : আহত-১৫

      প্রতিনিধি ১৫ মার্চ ২০২৩ , ১২:২৬:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ মোকাররম হোসেন (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডট কম) উত্তরবঙ্গের পঞ্চগড়ে কাদিয়ানী-মুসল্লী সংঘর্ষের ঘটনার ২জন নিহতের পর এবার দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলায় ঘটলো সেই একই ঘটনা। জুম্মা’এর নামাজের পরপরই প্রায় ৩০ মহিলা এবং ১০ জন পুরুষ মিলে সাধারণত মুসল্লীদের উপর কাদিয়ানীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন। এর মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
    অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর বিরল উপজেলা ৯নং মঙ্গলপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রঘুনাথপুর সলাহার পন্ডিতপাড়া গ্রামের জামে মসজিদে পূর্ব পারিবারিক শক্রতার জের ধরে জায়গা-জমিকে কেন্দ্র করে মসজিদের ভিতরে ও বাইরে হামলা চালায় কাদিয়ানী মহিলা ও পুরুষেরা। আহত আব্দুর রহিম জানান, মনিরুজ্জামান মনির এবং জিয়াউর রহমান জিয়াগংরা পঞ্চগড়ের কাদিয়ানীদের ভাড়া করে এনে মসজিদের ভিতরে এবং বাইরে জুম্মার নামাজের পর নারী-পুরুষ উভয়ে মিলে হামলা চালায়।
    সরেজমিনে গেলে জানা যায়, মসজিদের ঈমাম নাকি কাদিয়ানীদের সাথে হট লাইন। তারা পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক মহিলাদের দিয়ে মসজিদের ভিতরে এবং বাইরে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে পুরুষরাও হামলায় শরীক হয়। স্থানীয়রা পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, আমরা হামলা করিনি। আব্দুর রহিমগংরাই হামলা করেছে। হামলার এক পর্যায়ে ৯৯৯ ফোন করে মুসল্লীরা প্রাণে বেঁচে যায় বলে জানান এক মুসল্লী মোঃ রাজিউর রহমান রাজু। তিনি বলেন, আমি দিনাজপুর শহরে বসবাসকারী। শুক্রবার গ্রামের বাড়ি বিরলে যাই এবং জুম্মার সময় নামাজ পড়ি। মনিরুজ্জামান মনির এবং জিয়াউর রহমান জিয়াগংরা পূর্বের শত্রুতার জের ধরে আমাদের মারধর করেছে। পবিত্র মসজিদের ভিতরে এবং বাইরে মহিলা ঢুকিয়ে আমাদের হামলা চালিয়েছে। আল্লাহ তাদের ক্ষমা করবে না। এ ঘটনায় জায়গা-জমি নিয়ে বাক-বিতন্ডা উভয়ের মধ্যে ছড়িলে পড়লে মনিরুজ্জামান মনির এবং জিয়াউর রহমান জিয়াগংরা জুম্মার নামাজের পর হামলা-পাল্টা হামলায় নারী-পুরুষ সহ অনন্ত ১৫জন আহত হয়েছেন। আহতদের কিছু অংশ বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল ও এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
    আহতরা হলেন, প্রতিপক্ষ মোঃ ফরিদ উদ্দিনের পুত্র হবিবর রহমান, ফজিবর রহমান, মজিবর রহমান, নুরুল, আলম, আলমগীর এবং ময়েজ উদ্দিনের পুত্র এনামুল হক, লিটন, কছিম উদ্দিনের পুত্র আনারুল ইসলাম জিয়া, মনিরুজ্জামান মনির, আলিম। অপরদিকে আব্দুর রহিম, শেফালী বকুল, রেবেকা খাতুন, শাহরিয়ার রহমান রোজ, মোঃ রাজিউর রহমান রাজু, নার্গিজ বেগম, শামিমা বেগম, সেলিমা বেগম, তসলিমা খাতুন, রাবেয়া বেগমসহ আরো অনেকে আহত হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষ মামলার প্রস্তুতি চলছিল। অবস্থা থমথমে হওয়ার ফলে উক্ত মসজিদে ভয়ে কেউ নামাজ পড়তে যাচ্ছে না। বিষয়টি বিরলে টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।

    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

    আরও খবর

    Sponsered content