• Top News

    দিনাজপুরে লিগ্যাল নোটিশের জবাবেও অসত্য তথ্য ঘোষণা

      প্রতিনিধি ১৫ মার্চ ২০২৩ , ২:০৭:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    স্টাফ রিপোর্টার (দিনাজপুর২৪.কম) দিনাজপুর লিগ্যাল নোটিশের জবাবেও অসত্য তথ্যের ঘোষণার খবর পাওয়া গেছে। রাজারামমপুর হাউস, মুন্সিপাড়া, দিনাজপুরের বাসিন্দা মরহুম নুরুল হুদা চৌধুরীর পুত্র মোহাম্মদ আলী চৌধুরী প্রথমপক্ষ এবং মুন্সিপাড়া, দিনাজপুর মোঃ বাদশা ইমাম আরাফাত দ্বিতীয়পক্ষের সাথে প্রাণনাথপুর মৌজার জেল.এল নং-৬৩, খতিয়ান নং-৩৫৭৮, দাগ নং-৮১১০, জমির পরিমাণ-০.০৫৬৫ একরের মধ্যে সর্ব দক্ষিণে ও পূর্বে একটি দোকান ঘর। দোকান ঘরের পরিমাণ- দৈর্ঘ্য- ২৩ ও ২৮ ফুট প্রস্থ-১৭ ও ১৮ ফুট দোকানঘর ভাড়ার চুক্তি হয়। চুক্তিতে প্রথমপক্ষের কাছে দ্বিতীয়পক্ষ ১১/০৬/২০২০ তারিখ হতে ০২/০৪/২০২৪ সাল পর্যন্ত ভাড়ার চুক্তি হয়। চুক্তিপত্রে ৫নং শর্তে বলা হয়েছে দ্বিতীয়পক্ষ কখনই প্রথমপক্ষের দোকানঘর ভাড়া বা সাবলেট দিতে পারবেন না বা দোকান ঘর পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করতে পারবে না। ষষ্ঠতম শর্তেও বলা হয়েছে দ্বিতীয়পক্ষ দোকান ঘর অন্য কারো নিকট কোন প্রকার চুক্তিপত্র করতে পারবেন না। কিন্তু দ্বিতীয়পক্ষ উক্ত চুক্তিপত্রের নীতিমালা ভঙ্গ করে ভয়ালপুর, জাবারীপুরহাট, বদলগাছি, নওগাঁর স্থায়ী বাসিন্দা অছির উদ্দীনের পুত্র আসাদুল ইসলামের সাথে দ্বিতীয় পক্ষ মুন্সিপাড়া, দিনাজপুরের স্থায়ী বাসিন্দা বাদশা ইমাম আরাফাতের সাথে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে বিক্রয় কমিশনের মাধ্যমে ভাড়া দেয়। শুধু তাই নয় উক্ত চুক্তিপত্রে চতুর বাদশা ইমাম আরাফাত কঠোর গোপনীয়তায় সাথে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে নিজে প্রথমপক্ষ সেজে দ্বিতীয় পক্ষ বানিয়ে আসাদুল ইসলামের সাথে ব্যক্তিগত ভাবে ব্যবসা পরিচালনার চুক্তিপত্র করে। অবাক হওয়ার বিষয় উক্ত চুক্তিপত্র দলিলে কোন রকম স্বাক্ষীগণের একটি স্বাক্ষরের দেখা মেলেনি।
    সর্বশেষ প্রথমপক্ষ মোহাম্মদ আলী চৌধুরী হয়ে দিনাজপুর জেলা জজকোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মোঃ তাজরুল ইসলামের মাধ্যমে গত ২২/০২/২০২৩ তারিখে একটি টি.পি এ্যাক্ট অনুযায়ী নোটিশ প্রদান করে দ্বিতীয়পক্ষ বাদশা ইমাম আরাফাতকে। উক্ত নোটিশে চুক্তিপত্রের ৫নং দফায় উল্লেখ রয়েছে যে, দোকান ঘর কারো নিকট ২য়পক্ষ ভাড়া বা সাবেলেট দিতে পারবে না। ১ম পক্ষের নিজ প্রয়োজন হলে অথবা অন্য কোন সমস্যার সৃষ্টি হলে আপনি ২য়পক্ষ দোকান ঘর ছেড়ে দিতে বাধ্য থাকবেন। আপনি বে-আইনভাবে সাবলেট প্রদান করায় আপনার চুক্তিপত্র বাতিল হয়েছে। আপনি চুক্তিপত্রের অপব্যবহার করে সাবলেট প্রদান করায় আপনি ২য়পক্ষ দন্ডিত অপরাধ করেছেন। এখন আর আপনি দ্বিতীয়পক্ষ প্রথম পক্ষের ভাড়াটিয়া নন। আপনি দ্বিতীয়পক্ষ প্রথমপক্ষের দোকান ঘর ছেড়ে দিবেন।
    আবার দ্বিতীয়পক্ষ বাদশা ইমাম আরাফাতের পক্ষে খুরশিদ পারভীন জলি এ্যাডভোকেট ও আইয়কর আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশের জবাব দেন। উক্ত লিগ্যাল নোটিশের জবাবে বলা হয় যে, দ্বিতীয়পক্ষ দোকানঘরটি সাবলেট হিসেবে কাউকে ভাড়া দেননি। দোকান ঘরটি জয়েন্ট ভেনচারের মাধ্যমে অন্য আরেকজনকে ব্যবসার সুযোগ দিয়েছে। এক্ষেত্রে প্রথমপক্ষ মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, আইনজীবীকে বিভ্রান্তিমুলক অসত্য তথ্য দিয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয়পক্ষের চুক্তিপত্রে কোথাও জয়েন্ট ভেনচারে ব্যবসার করার শর্ত দেয়া হয়নি। যেহেতু দ্বিতীয়পক্ষ কোন নীতিমালা তিনি মানেনই না সেহেতু প্রথম এবং দ্বিতীয়পক্ষের চুক্তিপত্র এমনিতেই বাতিল হয়ে গেছে। দ্বিতীয়পক্ষ সে আমার ভাড়াটিয়া নয় সে অবৈধ দোকানঘর দখলকারী। জীবন সায়ন্নে এসে প্রবীণ এই বিশিষ্ট সমাজ সেবক অসুস্থ্য অবস্থায় মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ওরফে বাদশা চৌধুরী প্রথমপক্ষ দিনাজপুর জেলার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

    আরও খবর

    Sponsered content