প্রতিনিধি ২৭ মার্চ ২০২৩ , ১২:৫৬:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ
(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডট কম) স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে ব্রয়লার মুরগির দামে। বড় কোম্পানিগুলো খামারে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা কেজিতে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি শুরুর পর খুচরা বাজারে এর দাম কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। খুচরায় রোববার ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। তবে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে ডিমের দামে। বাজারে গত তিন দিনে ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাজারভেদে ডজনপ্রতি ফার্মের মুরগির বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত।
রোববার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২২০-২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা রোজা শুরুর আগের দিন ৩০০ টাকা ছুঁইছুঁই করছিল। পোলট্রি খাতের শীর্ষ স্থানীয় চার প্রতিষ্ঠান খামার পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি নির্ধারণের পরই বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে দাম কমতে শুরু করে। গত বৃহস্পতিবার ঢাকার বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ২৮০ টাকা। সেই হিসেবে তিন দিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে অন্তত ৫০ টাকা কমেছে। কমেছে সোনালি মুরগির দামও। বাজারভেদে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকায়।
মিরপুর শাহ আলী বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান বলেন, মুরগির দাম কমতে শুরু করেছে। গতকালের মতো আজকেও ব্রয়লার মুরগি পাইকারিতে কেনা পড়েছে ২০০ টাকার নিচে। আমরা খরচ বাদে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকার মতো দাম সমন্বয় করে খুচরায় বিক্রি করছি।
এদিকে প্রতি ডজন ফার্মের বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানে ডিমের হালি এখন ৪৭-৪৮ টাকা। কোথাওবা ৫০ টাকাও রাখা হচ্ছে।
তবে মুরগির দাম কমা আর ডিমের দাম বাড়ার মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সরকার মুরগির দাম নির্ধারিত করে দিয়েছে। ফলে এর থেকে বেশি বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। তবে ডিমের কোনো নির্ধারিত দাম নেই। সরবরাহ সংকটের কারণে দাম বাড়ছে।
বাজার কারওয়ান বাজারের ডিম বিক্রেতা কবির বলেন, সারা দেশে বৃষ্টির কারণে ডিমের সরবরাহ অনেক কম। এ কারণে তিন দিন ধরে দাম ঊর্ধ্বমুখী। একই বাজারের ডিম বিক্রেতা কামরুল বলেন, ডিমের দাম এই বাড়ে তো এই কমে। আগে ১৩০ টাকা ডজন বিক্রি করেছি। এরপর হলো ১৩৫ টাকা। পরে তা কমে আবার ১৩০ টাকায় নামে। এখন আড়তে ডিমের দাম বাড়ছে। বাজারে ডজনপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। ১৪০ টাকার কমে বিক্রি করা যাচ্ছে না।
কারওয়ান বাজারের ডিম ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর বলেন, রোজায় ডিমের বাড়তি চাহিদা থাকে না। তবে বাজারে মাছ-মাংসের দাম খুব বেশি হওয়ার কারণে ডিমের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। মানুষ ডিম খাচ্ছে।
অন্যদিকে পাড়া-মহল্লার মুদি দোকান থেকে ডিম কিনতে আরও কয়েক টাকা বাড়তি গুনতে হচ্ছে। খুচরা দোকানে ডিমের হালি ৪৭-৪৮ টাকা, কোথাওবা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ফার্মের মুরগির সাদা ডিম একটু কমে, প্রতি হালির দাম রাখা হচ্ছে ৪৫ টাকা। অন্যদিকে বাজারভেদে হাঁসের ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়।
পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার বলেন, মুরগির দাম নির্ধারণ করতে বাধ্য হয়েছে কোম্পানিগুলো। কিন্তু ডিমের দাম নির্ধারণ করা হয়নি। এই সুযোগে ডিমের দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করা হচ্ছে। – নিউজ ডেস্ক