প্রতিনিধি ৩ এপ্রিল ২০২৩ , ১১:০৪:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ
(দিনাজপুর২৪.কম) কর ফাঁকি ও অস্বচ্ছ ব্যবস্থার কারণে সরকার প্রতি বছর ৫৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা থেকে ২ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। এ ছাড়া অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে সরকার বছরে প্রায় ৮৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংস্থাটির কার্যালয়ে ‘কর্পোরেট খাতে কর স্বচ্ছতা: জাতীয় বাজেটে এর প্রভাব’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়। সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এ সময় সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। গবেষণাটি সিপিডি ও খ্রিস্টিয়ান এইডের সহযোগিতায় পরিচালিত হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১৫ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কর ফাঁকির তথ্য পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে প্রতিবছর সর্বনিম্ন ৪১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা থেকে ২ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এ ছাড়া সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত করছাড় দেওয়া হয়। এভাবে প্রতিবছর ১৪ হাজার কোটি টাকা থেকে ৬৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। দুই খাত মিলে বছরে সরকার ৫৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা থেকে ২ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ কেটি টাকার রাজস্ব পাচ্ছে না।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে ২০১০ সালে করের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা। ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ, এই খাত থেকে সরকার প্রতিবছর ৮৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে, যা জিডিপির প্রায় ৩০ শতাংশ।
গবেষণায় বেশকিছু সুপারিশ করেছে সিপিডি। এগুলো হচ্ছে– কর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে সমন্বিত পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেন চালু করতে হবে। বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে সুনির্দিষ্ট খাত থেকে কর আদায় করতে হবে। কর প্রশাসনকে আরও শক্তিশালী ও আধুনিকায়ন করতে হবে। যারা কর ফাঁকি দেন তাদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
এ ছাড়া প্রত্যেক কোম্পানির আলাদা আলাদা আইডি নম্বর থাকবে, যার মধ্যমে খুব সহজেই কর প্রদানের তথ্য নিশ্চিত হওয়া যাবে। করছাড় ক্রমন্বয়ে কমিয়ে আনতে হবে। যেসব খাতে ছাড় দেওয়া হচ্ছে, তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে কি না, সেটি নির্ণয় করতে হবে। করখাতের নায্যতা প্রতিষ্ঠায় বাজেটে কালো টাকা সাদা করার বিধান বন্ধ করতে হবে। -নিউজ ডেস্ক