• Top News

    দিনাজপুর জিলা স্কুলের সহকারী এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলায় শিক্ষক কারাগারে

      প্রতিনিধি ৭ এপ্রিল ২০২৩ , ৪:১৫:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোস্তাফিজার রহমান (দিনাজপুর২৪.কম) দিনাজপুর জিলা স্কুলের সহকারীএক শিক্ষককে বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা,আসামিকে কোর্টের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদাল।দিনাজপুর জিলা স্কুলের সহকারি শিক্ষক গৌতম গুপ্ত বর্তমানে শ্রীঘড়ে গত ৪ এপ্রিল দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় রত্না ইসলাম (৪০) ( নব্য- সনাতন)এর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় দিনাজপুর জিলা স্কুলের সহকারি শিক্ষক গৌতম গুপ্তকে আটক করে পুলিশ।পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।পাবনা জেলার ভাংগুড়া থানার হার্টগ্রাম এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে এমদাদ করিমের স্ত্রী বর্তমান দিনাজপুর শহরের মুন্সিপাড়া নিবাসী রত্না ইসলাম(নব -সনাতন)এর দায়ের করা এজাহার সুত্রে জানা যায় ফুলবাড়ী উপজেলার পশ্চিম কাটাপাড়া শিবনারায়ন গুপ্তর ছেলে বর্তমান উওর বালুবাড়ী নিবাসী দিনাজপুর জিলা স্কুলের সহকারি শিক্ষক গৌতম গুপ্তের সাথে ২০২২সালে ২জানুয়ারি ছেলের প্রাইভেট পড়ার সুবাদে তার সাথে আমার পরিচয় হয়।এক পর্যায়ে আমার ছেলের পড়াশুনায় অমনোযোগী ও রেজাল্ট ভাল না করার সুবাদে আমার ছেলেকে বাসায় গিয়ে পড়ানোর প্রস্তাব দেয়।আমি তার কথায় রাজি হয়ে তার কাছে আমার ছেলেকে বাসায় এসে পড়ানোর সুযোগ দেই।এভাবে বাসায় এসে পড়ানোর সুবাদে এক পর্যায় গৌতম গুপ্ত সরলতার সুযোগ নিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষন করে গোপনে ভিডিও ধারন করে রাখে।এই ভাবে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মুসলিম ধর্ম থেকে সনাতন ধর্ম গ্রহনে বাধ্য করে।একপর্যায়ে সে আমাকে বিবাহ না করেই সহ বাস করে এবং ভিডিও ধারন করে আমাকে ব্লাকমেইল করে ও ভয়ভীতি দেখায়।এরই ধারাবাহিকতায় একাধিকবার ধর্ষণের ফলে আমি দুই মাসের অন্তস্বত্বা হয়ে পরলে সে আমাকে বাচ্চা নষ্ট করতে বলে।এই ভাবে গত ২৫ মার্চ শিক্ষক গৌতম আমাকে তার কোচিং সেন্টারে ডেকে নিয়ে গিয়ে কোচিং শেষ করার পর উওর বালুবাড়ী তার ভাড়া বাসায় নিয়ে গিয়ে আবারও ধর্ষন করে।এবং সেখান থেকে সন্ধ্য ৬টার সময় কান্তজীর মন্দির নিয়ে গিয়ে দেবো তাকে সাক্ষী রেখে কপালে সিদুঁর পরিয়ে দিয়ে বলে বিয়ে হয়েছে।পরবর্তীতে উক্ত বিবাদী গৌতম একই ভাবে গত ২৯মার্চ দুপুর ১টা ৩০মিনিটে কাহারোল থানাধীন কান্তজীউ মন্দিরে নিয়ে গিয়ে শাখা,সিদুঁর পরিয়ে বিয়ে করে তার ভাড়াটিয়া বাসা উওর বালুবাড়ীতে (৫ তলা) ভবনের নীচতলায় কোচিং পাশের রুমে নিয়ে গিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করে।এক পযায়ে তার স্ত্রী দেখে ফেললে তিনি আমাকে কোচিং পাশের রুমে তালা মেড়ে গৌতম ও তার স্ত্রী পালিয়ে যায়।পরে আমি জরুরী পুলিশি সেবা পেতে ৯৯৯কল করলে কোতয়ালী পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।এইভাবে দিনের পর দিন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেছে।রন্তা ইসলাম (নব সনাতন) এর দায়েরকৃত মামলার প্রেক্ষতে গত ৪এপ্রিল দুপুর ২টা ৪৫মিনিটে আসামী গৌতম গুপ্তকে তার উওর বালুবাড়ীর ভাড়া বাসা থেকে কোতয়ালী পুলিশ আটক করে।আসামী গৌতম গুপ্তের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধিত ২০২০ তৎসহ ৮(১)(২) পর্নোগ্রাফি আইন এর ২০১২ রুজু করে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

    আরও খবর

    Sponsered content