• Top News

    অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র, ‘মডেল’ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি মোমেনের

      প্রতিনিধি ১১ এপ্রিল ২০২৩ , ১০:০৭:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে বেঠকে ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ছবি: সংগৃহীত

    (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডট কম) বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু দেখতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ ক্ষেত্রে একটি ‘মডেল’ নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছে দেশটি। এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ।

    দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের শুরুতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে তার দেশের প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেন।

    ব্লিংকেন বলেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি সারা বিশ্বের দৃষ্টি রয়েছে। এ অঞ্চল এবং সারা বিশ্বের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়, তা নিশ্চিতের বিষয়ে সবার মনোযোগ রয়েছে।

    নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষককে স্বাগত জানানোর কথা দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান মোমেন। তবে দেশটিতে অবস্থানরত কোনো বাংলাদেশি নাগরিক রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে পর্যবেক্ষক হতে পারবে না বলে বার্তা দেন ড. মোমেন।

    তিনি বলেন, ‘আমরা তোমাদের (যুক্তরাষ্ট্র) পর্যবেক্ষককে স্বাগত জানাতে চাই। তোমরা আসো। আমরা বলেছি, তোমরা যত পারো পর্যবেক্ষক পাঠাও। গত নির্বাচনে ২৫ হাজার পর্যবেক্ষক ছিল। কিন্তু পর্যবেক্ষক অবশ্যই বাংলাদেশি অরিজিন কেউ হতে পারবে না, যারা রাজনৈতিক দলের ব্যানারে পর্যবেক্ষক হতে চাইবে।’

    নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনার কথা ব্লিংকেনের কাছে তুলে ধরে মোমেন বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য আমরা কী করেছি, আমরা ফটো আইডি তৈরি করেছি, যাতে ভুয়া ভোট না হয়। আমরা বিশ্বাসযোগ্য ব্যালট বাক্স করেছি। আমরা একটা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন করেছি।’

    নির্বাচনের সময় কমিশন স্বাধীন জানিয়ে মোমেন বলেন, ‘নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম। তারা ইচ্ছে করলে যেকোনো লোককে বদলি করতে পারে, যেকোনো লোককে সাসপেন্ড করতে পারে। কমিশনের এগুলো করার ক্ষমতা রয়েছে এবং তারা করেছে।’

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৪ বছরে কয়েক হাজার নির্বাচন হয়েছে। স্বল্প সংখ্যক কিছু অনিয়ম হয়েছে। সেখানে কমিশন ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা আশা করছি, নির্বাচন কমিশন একটা স্বচ্ছ নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে। তবে নির্বাচন একা একা হয় না।’

    সরকারের একার পক্ষে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মনে করেন মোমেন। তার ভাষ্য, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু শুধু সরকার করতে পারবে না। সেটার জন্য সব বিরোধী দলকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদেরও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য কমিট করতে হবে। তাদের অংশগ্রহণ ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন…।’

    নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে একজন মানুষও যেন প্রাণ না হারায় সেই চাওয়ার কথা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন মোমেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচনে লোক মারা যায়। আমরা চাই না একটা লোক মারা যাক। আমাদের এখানে হাসি-আনন্দে নির্বাচন হয়। তবে আমরা খুব ইগোস্টিক, এত উদ্বেলিত হই যে, লোক মেরে ফেলি। আমরা চাচ্ছি, নির্বাচন ইস্যুতে আমাদের একটা লোকও যেন না মারা যায়।’

    ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য সব ধরনের পরিবেশ তৈরি করেছে। তবে অন্যদের সাহায্যের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন মোমেন।

    মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ব্যাপক পরিসরে বেড়েছে। অর্থনীতি, দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক থেকে শুরু করে জলবায়ু, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপকতর সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ মূল্য দেয়। অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং মানবাধিকারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই সম্পর্ককে আরও গভীর ও জোরালো করার লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যেতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ -ডেস্ক রিপোর্ট

    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

    আরও খবর

    Sponsered content