প্রতিনিধি ১৬ এপ্রিল ২০২৩ , ৯:১৬:২০ প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) ১৫ ই এপ্রিল ২০২৩ রোজ শনিবার শাহানা ক্লিনিক এন্ড নার্সিংহোম মেডিকেল কলেজ রোড ডায়াবেটিকস হাসপাতালের পাশে ১নং উপশহর দিনাজপুরে । ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ১০ নং যাবুর হাট ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের চন্দরিয়া চৌরাস্তা বাজারের এলাকার পিতা মমিনুর রশিদ মাতা সুমাইয়া আক্তারের একমাত্র দুই বছরের একটি পুত্র সন্তান সোফায়েত হোসেন মুরাদ হার্নিয়া রোগে আক্রান্ত হয়। তারপর শাহনাজ ক্লিনিকের পরিচালক ডাঃমিনহাজুল ইসলাম এমবিবিএস বিসিএস স্বাস্থ্য ডি এ এনেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ এর সঙ্গে হার্নিয়া অপারেশনের বিষয় নিয়ে পরামর্শ করলে তিনি তার ক্লিনিকে ভর্তি করে অপারেশন করার কথা বলেন। পরবর্তীতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মৃত সাফায়েত হোসেন মুরাদ শিশুটির পিতা ও মাতা আনুমানিক ৪ ঘটিকায় সময় শিশু বাচ্চাটিকে হার্নিয়া অপারেশনের জন্য ভর্তি করে দেন ৬ টা ৪৫ মিনিট সময়ে ওটিতে নিয়ে যাওয়ার পর ২০ মিনিট পরে সাফায়েত আহমেদ মুরাদ এর মৃত্যুর সংবাদ চলে আাসে। মৃত্যুর সংবাদ শুনেই ওই শিশু বাচ্চাটির অভিভাবক ও তার আত্মীয়-স্বজনরা এবং স্থানীয় লোকজন সহ ক্লিনিকে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও ঘাতক চিকিৎসকদের উপর হামলা হওয়ায় দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার আইনশৃঙ্খলার পুলিশের বাহিনীর কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এবং মৃত শিশু বাচ্চাটির অভিভাবকেরা আরো জানান আমাদের সন্তানের অপারেশন থিয়োটারে ভুল চিকিৎসা ও ইনজেকশন দেওয়া আমার দুই বছরের শিশু বাচ্চাটিকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে । এছাড়াও ডাঃ মো মিজানুর রহমান আবাসিক সাজন শিশু সার্জারি বিভাগ এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হসপিটাল দিনাজপুর তিনি জানান আমি শুধু একটু চামড়া কেটেছি। কিন্তু যখন চামড়া কেটে ফেলি তখন কোন ব্লাড না আসায় আমি আমার অপারেশন বন্ধ করে দেই। এখানে এই হার্নিয়া অপারেশনে আমার কোন ভুল ছিল না। তবে আমার জানামতে এনেসথেসিয়া ডাঃ মিনহাজুল ইসলাম এর অজ্ঞান করার জন্য ভুল ইনজেকশন দেওয়ায় শিশু বাচ্চাটির মৃত্যু হতে পারে। এরকম মন্তব্য করেন তিনি। পরিশেষে শিশু বাচ্চাদের মৃত্যু ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাফায়েত হোসেন মুরাদ এর বড় আব্বা মো মাসুদ আলম মাস্টার থানায় এসে তার ছোট ভাই মমিনুর রশিদ ও সুমাইয়া আক্তারের পরিবারের একমাত্র প্রদীপ ছিল মুরাদ। প্রদীপ নিভে যাওয়ার পরে অবশেষে জীবনের বিনিময়ে রফা দফা হল ৭ লক্ষ টাকা। তাই পরিশেষে এরকম ঘাতক চিকিৎসকদেরকে ভুল চিকিৎসা দেওয়ার কারণে কিছু মানুষকে জীবন দিতে হচ্ছে। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।