• Top News

    ট্রলার থেকে উদ্ধার ১০ মরদেহের পরিচয় মিলেছে

      প্রতিনিধি ২৪ এপ্রিল ২০২৩ , ১২:৫৩:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    (দিনাজপুর২৪.কম) কক্সবাজারের নাজিরারটেক পয়েন্টে ভাসমান ট্রলার থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ১০ জনের পরিচয় মিলেছে। নিহতরা মহেশখালী ও চকরিয়ার বাসিন্দা।

    তাদের স্বজনদের দাবি, ট্রলারটির মালিক মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকার মোহাম্মদ রফিকের ছেলে শামসুল আলম। তিনি নিজেও সাগরে মাছ ধরতে যান তার নিজের ট্রলারে। গত ৭ এপ্রিল মাঝিমাল্লা নিয়ে তিনি সাগরে মাছ ধরার উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তারা।

    অন্যদিকে নিহত ১০ জনের মধ্যে ছয়জনেরই বাড়ি মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর মিঠাছড়ি এলাকায়। স্থানীয় মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে নুর কবিরের মাধ্যমে ওই এলাকার পাঁচজন কিশোর সাগরে যায়। কিন্তু নুর কবির ছাড়া বাকি পাঁচ কিশোর পেশায় জেলে নয়। হঠাৎ কেন সাগরে মাছ ধরতে গেছে, সেটিও কেউ বুঝে উঠতে পারছে না।

    উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর চেহারা শরীরের প্রায় ৯৫ শতাংশ গলে গেছে। ফলে তাদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছিল।

    কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিজানুর রহমান বলেন, স্বজনদের দাবি অনুযায়ী আমরা চারজনের পরিচয় জানতে পেরেছি। কিন্তু যেহেতু মরদেহগুলো গলে গেছে, তাই ডিএনএ টেস্টের সিদ্ধান্ত ছাড়া পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব নয়। তারপরও দুপুরের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। কখন মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হতে পারে।

    যাদের শনাক্ত করা হয়েছে, মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়ার রফিক মিয়ার ছেলে সামশুল আলম (২৩), শাপলাপুর ইউনিয়নের মিটাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮), জাফর আলমের ছেলে সওকত উল্লাহ (১৮), মুসা আলীর ছেলে ওসমাণ গনি (১৭), সাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল্লাহ (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশাররফ (১৪), মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে নুরুল কবির (২৮), চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৪), শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান (৩৫) ও চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গা এলাকার জসিম উদ্দীনের ছেলে তারেক জিয়া (২৫)।

    যে মাছ ধরার ট্টলার থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি শনিবার বিকেলে নাজিরারটেক কূলের কাছাকাছি টেনে নিয়ে আসে আরেকটি মাছ ধরার ট্রলার। যার মাঝি ছিলেন গুরা মিয়া। ওই ট্রলারে মরদেহগুলো বরফ ও মাছ রাখার স্টোরে হাত-পা বেঁধে ঢুকিয়ে দরজায় পেরেক ঠুকে আটকে দেয়া হয়। পুলিশ ধারণা করছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। -নিউজ ডেস্ক

    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

    আরও খবর

    Sponsered content