• Top News

    আরও ১০০ হাসপাতালে বৈকালিক সেবা

      প্রতিনিধি ২ মে ২০২৩ , ৫:৫৯:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    (দিনাজপুর২৪.কম) আগামী সপ্তাহে আরও ১০০ সরকারি হাসপাতালে ফি দিয়ে বৈকালিক চিকিৎসা সেবা চালু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আগামী এক সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানে বৈকালিক সেবা চালু করা যাবে। শিগগিরই ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সবার জন্য বুস্টার ভ্যাকসিন বায়োভ্যালেন্ট ডোজ দেওয়া শুরু হবে।
    মঙ্গলবার (২ মে) সচিবালয়ে জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।   দেশের ৫১ সরকারি হাসপাতালে ফি দিয়ে রোগীরা এখন থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ থেকে বৈকালিক সেবা পাচ্ছেন। গত মাসের ৩০ মার্চ সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক সেবা উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
    ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস পুরোদমে চলছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এতে চিকিৎসক ও রোগী- সবাই সন্তুষ্ট।  ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ আরও গতিশীল করা হচ্ছে। সরকারিভাবে বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে, সেটা বিনামূল্যে। ইউনির্ভার্সাল হেলথ কভারেজের ভিত্তি হলো জনগণকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিতে হবে। সরকারিভাবে বিনামূল্যে দিয়ে আসছি, এখন বেসরকারিভাবে কীভাবে রোগীদের খরচ কমিয়ে আনা যায়, তা নিয়ে কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারলেই ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ আমরা অনেকাংশে বাস্তবায়ন করতে পারব।
    তিনি বলেন, আগামী ১১ মে বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন হতে যাচ্ছে। এতে নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন থাকবেন। প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    শিগগিরই ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সবার জন্য বুস্টার ভ্যাকসিন বায়োভ্যালেন্ট ডোজ দেওয়া শুরু হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ১১ লাখ ডোজ পেয়েছি। অল্প সময়ের মধ্যে আরও ২০ লাখ ডোজ হাতে পাব। শিগগিরই নতুন এ ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করব।
    তিনি বলেন, করোনা প্রতিরোধে বায়োভ্যালেন্ট নামের নতুন একটি টিকা ১১ লাখ আনা হয়েছে। আরও ২০ লাখের মতো এই টিকা অল্প সময়ের মধ্যে পেয়ে যাব। এটিকে বলা হয় কম্বাইন্ড ভ্যাকসিন। ওমিক্রন ও ডেল্টা ধরনের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে এ টিকা।
    মন্ত্রী আরও বলেন, বায়োভ্যালেন্ট টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে আনা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৫ কোটি মানুষ করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজও কাছাকাছি।
    সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, ১৯৭১ সালের ২ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ। প্রথম মহাপরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন ডা. টি হোসেন। ছোটো আকারে অল্পকিছু ডাক্তার ও কর্মকর্তাদের নিয়ে এ অধিদপ্তরের কাজ শুরু হয়। তারা মুক্তিযুদ্ধে আহতদের চিকিৎসা সেবা দেন। আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কলেবর অনেক বেড়েছে। যেখানে তখন একটি শয্যাও ছিল না, সেখানে এখন ৬০ হাজার শয্যা রয়েছে। ৩৩ হাজার চিকিৎসক রয়েছেন। ৪৫ হাজার নার্স রয়েছেন। আর জেলা-উপজেলা, মেডিকেল কলেজ ও ইনস্টিটিউট মিলিয়ে সাড়ে ৭০০ হাসপাতাল রয়েছে আমাদের। ১৮ হাজার ক্লিনিক হয়েছে। এর মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক ১৪ হাজার। এখন সব ওষুধ বাংলাদেশে তৈরি হয়। বাইপাস সার্জারি, ট্রান্সপ্ল্যান্ট হচ্ছে বাাংলাদেশে। চিকিৎসা সেবার পরিধি অনেক বেড়েছে। -ডেস্ক রিপোর্ট
    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

    আরও খবর

    Sponsered content