• Top News

    মোদির পরাজয় রাহুলের জয়

      প্রতিনিধি ১৪ মে ২০২৩ , ৯:০৬:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    (দিনাজপুর২৪.কম) অবশেষে কংগ্রেস বড় জয়ের মুখ দেখল। কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের পর বুথ ফেরত জরিপে আভাস ছিল, কংগ্রেস জয় পেলেও ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হবে অর্থাৎ অন্য দলের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করতে হবে। কিন্তু গতকাল চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর দেখা গেল কংগ্রেস বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে। ২২৪ আসনের মধ্যে ১৩৭ আসনে কংগ্রেস জয়ী হয়েছে। যেখানে সরকার গঠন করতে প্রয়োজন ১১৩ আসন। অন্যদিকে বিজেপির ঝুলিতে পড়েছে ৬৫ আসন আর আঞ্চলিক দল জেডিএস পেয়েছে ১৯ আসন। এ ছাড়া অন্যান্য দল জয় পেয়েছে তিন আসনে। খবর এনডিটিভি।

    এবারের নির্বাচন নানা দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিশেষ করে আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদির গ্রহণযোগ্যতা কতটা অটুট রয়েছে সেই পরীক্ষা হিসেবেও দেখা হয়েছে। এ ছাড়া খোদ নরেন্দ্র মোদি এ নির্বাচনকে নিজের চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছিলেন। এ কারণেই কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ গতকাল ফল প্রকাশের পরপরই, কর্নাটকের ফলকে নরেন্দ্র মোদির পরাজয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এভাবে দেখার বেশ কিছু কারণও রয়েছে। নির্বাচনী প্রচারের শেষ ৭ দিনে মোদি ২১টি জনসভায় ও চারটি রোড শোতে অংশ নিয়েছেন। বিজেপির নির্বাচনী পোস্টার, ব্যানারেও শুধু মোদির মুখটাই প্রাধান্য পেয়েছে। বিজেপিও সব সময় মোদির নামেই ভোট চেয়েছে। সঙ্গত কারণে মোদিকেই এই পরাজয় মেনে নিতে হচ্ছে। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। গতকাল কংগ্রেসের বড় বিজয়ের পর দলটির নেতৃবন্দ এর কৃতিত্ব দিয়েছেন রাহুল গান্ধীর ওপর। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাহুলের ‘ভারত জোড়ো যাত্রার’ প্রতিফলন হিসেবে এই বিজয় এসেছে। গতকাল বিজয়ের পর নয়াদিল্লিতে সমর্থকদের উদ্দেশে বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ঘৃণার বাজার শেষ হয়েছে, ভালোবাসার দোকান মুক্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দরিদ্র মানুষের শক্তির জয় হয়েছে। রাহুল আশা প্রকাশ করে বলেন, অন্য রাজ্যেও এর পুনরাবৃত্তি হবে। কংগ্রেস দরিদ্রদের সমস্যাগুলোর জন্য লড়াই করছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াংকা গান্ধী ‘ঐতিহাসিক সমর্থনের জন্য’ কর্নাটকবাসীকে ধন্যবাদ জানান। হিন্দিতে করা টুইটে প্রিয়াংকা বলেন, কংগ্রেসকে ঐতিহাসিক সমর্থন দেওয়ার জন্য কর্নাটকের জনগণকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনাদের জন্যই এই বিজয় সম্ভব হয়েছে। এই বিজয় কর্নাটককে এগিয়ে নেওয়ার প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে যা দেশকে ঐক্যবদ্ধ করবে।

    কে হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

    গতকাল সকাল থেকেই আভাস পাওয়া যাচ্ছিল কংগ্রেস বড় ব্যবধানে জয় পেতে যাচ্ছে। দিনের শেষভাগে সেটি স্পষ্ট হয়। কিন্তু একই সঙ্গে আরও একটি চিত্র সামনে আসে। তা হলোÑ মুখ্যমন্ত্রী কে হতে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যার দিকে এনডিটিভির সংবাদের ‘লাইভে’ প্রধান শিরোনাম ছিল মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে কংগ্রেসের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। কংগ্রেসে সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেছেন, এ ব্যাপারে বৈঠক হবে, দলের হাইকমান্ড এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবে। আজ রবিবার সকল জয়ী বিধায়ককে ব্যাঙ্গালুরুতে ডাকা হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং প্রদেশ সভাপতি ডি কে শিবকুমার এই দৌড়ে এগিয়ে থাকবেন। সিদ্দারামাইয়ার বয়স ৭৬। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগেই তিনি জানিয়ে দেন, এটাই তার শেষ ভোট। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদে দাবি আগেই জানিয়ে রেখেছেন। -ডেস্ক রিপোর্ট

    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

    আরও খবর

    Sponsered content