প্রতিনিধি ১৪ মে ২০২৩ , ৯:১৩:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ
স্বাস্থ্য খাতে ক্যাডার হিসেবে পদোন্নতির ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বিসিএস উত্তীর্ণ অনেক চিকিৎসকের মাঝে। ক্ষোভের ব্যাখ্যায় তারা বলছেন, বিধি ভেঙে নন-ক্যাডারদের ক্যাডার পদে বসানো হয়েছে। নিয়মনীতি না মেনেই তিন দফায় পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে ৪৩০ চিকিৎসককে, যাদের প্রত্যেকে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ছিলেন। তারা বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও এখন অনেক ক্যাডার কর্মকর্তার চেয়ে জ্যেষ্ঠতায় এগিয়ে যাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালে তিন ধাপে বিধি ভঙ্গের এ ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ২০১৯ সালে সহকারী অধ্যাপক পদে ১১৫ জন, ২০২০ সালে জুনিয়র কনসালট্যান্ট পদে ২৬৮ জন ও ২০২১ সালে জুনিয়র কনসালট্যান্ট পদে ৪৭ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
প্রতিকার চেয়ে ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় বরাবর অভিযোগ করেছে স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন। তবে এখন পর্যন্ত প্রতিকার মেলেনি। বাধ্য হয়ে গত বছরের ২৯ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন সংক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা।
অভিযোগ আমলে নিয়ে একদিন পরেই হাইকোর্টে শুনানি শেষে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের তালিকা চাওয়ার পাশাপাশি কীসের ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, তা জানাতে সংশ্লিষ্ট পাঁচ সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ছয় মাসের সময় দেন আদালত। কিন্তু আদালত আজও জবাব পায়নি। আর বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় একে অপরের ওপর দায় চাপাচ্ছে।
রিট আবেদনকারীদের প্রশ্ন, আমরা কি বিসিএসে যোগদান করে ভুল করেছি? বিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়া কি আমাদের অপরাধ। তারা বলছেন, ‘সরকারি চাকরি বিধি ১৯৮১ ভঙ্গ করে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসকদের পদোন্নতি দেওয়ায় যারা বিসিএসে উত্তীর্ণ হতে পারেনি, তারাই আজ পরিবর্তিত আইনে বিসিএসে উত্তীর্ণ চিকিৎসকদের থেকে জ্যেষ্ঠতা পাচ্ছেন।
রিট করা চিকিৎসকদের ভাষ্য, এ ধরনের পদায়নের ফলে অ্যাডহক চিকিৎসকদের অধীনে কর্মরত বিসিএসের ষষ্ঠ গ্রেডে নিয়োগ পাওয়া অনেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার এসিআর (বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন) দেওয়ার এখতিয়ার নবম গ্রেডের নন-ক্যাডার কর্মকর্তার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, যা অনাকাক্সিক্ষত ও অনৈতিক একটি পদক্ষেপ।
রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এমএস আজিম বলেন, ‘নবম গ্রেড দিয়ে বিসিএস ক্যাডাররা চাকরিতে যোগদান করেন, ষষ্ঠ গ্রেডের পর পদোন্নতির জন্য বিভাগীয় পরীক্ষা দিতে হয়। কিন্তু নন-ক্যাডারদের মধ্যে যাদের কেবল নিয়মিতকরণ করা হয়েছে, তাদের সরাসরি ক্যাডার পদে বসানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির একটি প্রমর্জোনা দিয়ে এ পদোন্নতি দেওয়া হয়। পরে গত বছরের ৩০ মে সরকার পদোন্নতির ক্ষেত্রে একটি রুল (১৮) ঢুকিয়েছে, যা দিয়ে তাদের ক্যাডার হিসেবে বৈধতা দেওয়া হয়। কিন্তু সেই নিয়মও মানা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘রুলের নিয়ম অনুযায়ী, নন-ক্যাডার ব্যক্তি ক্যাডার হলে তার জ্যেষ্ঠতা হবে সর্বশেষ বিসিএসের সবশেষ ক্যাডার যোগদানের নিচে। কিন্তু সেটি না মেনেই আগেই নন-ক্যাডারকে ক্যাডার পদে বসানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা রিট করলে আদালত কীসের ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে তা জানতে চান। একই সঙ্গে কতজনের দেওয়া হয়েছে সেই তালিকাও চেয়েছেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশনা তোয়াক্কা না করেই নতুন করে আরও ৯১ জন জনকে সিনিয়র কনসালট্যান্ট হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়। যারা পদোন্নতির জন্য বাধ্যতামূলক বিভাগীয় পরীক্ষা পর্যন্ত দেননি।’
এই আইনজীবী বলেন, ‘সরকারি চাকরিবিধিতে দেওয়া অনেকগুলো পদ আছে, যা কেবল ক্যাডারদের জন্য। কিন্তু সেখানে আগেই অবৈধভাবে নন-ক্যাডারদের বসানো হয়েছে। এ জন্য গত ২৭ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়গুলোতে কোর্ট নোটিশ পাঠানো হয়। কোনো জবাব না পাওয়ায় আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’
রিট আবেদনকারীদের মধ্যে একজন ডা. মারিয়া তাবাসসুম। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ৮৭ জন অ্যাডহকের নন-ক্যাডার নবম গ্রেডের কর্মকর্তা, উচ্চতর ষষ্ঠ গ্রেডে ইউএইচএফপিও পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কর্মরত আছেন। চারজন পালন করছেন ডেপুটি সিভিল সার্জনের দায়িত্ব। তাদের চাকরিতে যোগদানের সময় ধরে এসব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। অথচ স্বাস্থ্যে এই পদগুলো ক্যাডার পদ। অ্যাডহক থেকে রাজস্বভুক্ত করেই তাদের এসব পদে বসানো হয়েছে। এমনকি সম্প্রতি আরও ৯১ জনকে পঞ্চম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে, যা সুস্পষ্ট আইনের লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী মন্ত্রণালয় এই পদোন্নতি দিয়েছে। কিন্তু তারা নিজেরা বাঁচতে মন্ত্রণালয়ের ওপর চাপাচ্ছে। কিন্তু মন্ত্রণালয় কখনো নিজে থেকে এসব করে না। এ নিয়ে আমরা অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে অভিযোগও দিয়েছি, কিন্তু প্রতিকার পাইনি। ফলে বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।’
২৪তম বিসিএসে উত্তীর্ণ ডা. মোহাম্মদ নেয়ামত হোসেন বলেন, ‘রিট ছাড়া উপায় ছিল না। এমনিতেই স্বাস্থ্যে পদোন্নতির সুযোগ অনেক কমে এসেছে। বিধিবহির্ভূতভাবে ক্যাডারের পদগুলোতে নন-ক্যাডার হিসেবে সহকারী অধ্যাপক বা জুনিয়র কনসালট্যান্ট পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। চাকরি বিধি অনুযায়ী কখনোই ক্যাডার পদে নন-ক্যাডারকে পদোন্নতি দেওয়া যায় না। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাডার চিকিৎসকদের পদোন্নতি বন্ধ রাখা হয়েছে। দেশের আর কোনো ক্যাডারে এ ধরনের অনিয়ম দেখা যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ১৫ বছর এই চাকরিতে মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে কাটিয়েছি। অথচ পদোন্নতির সব যোগ্যতা থাকার পরও শুধু পদ না থাকায় পদোন্নতি পাইনি। সেখানে এই ৪৩০ ক্যাডার পদ নন-ক্যাডার দিয়ে পূরণ করা হয়েছে। এতে ২৮ থেকে ৪২ বিসিএসের ক্যাডাররা জ্যেষ্ঠতা হারিয়েছেন, যা বিধিবহির্ভূত। শুধু অ্যাডহোক থেকে নয়, প্রোজেক্ট থেকে এমন বিধি ভেঙে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) শামিউল ইসলাম স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাঁধে চাপিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘পদোন্নতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেয় না, মন্ত্রণালয় দেয়। কোন ভিত্তিতে নন-ক্যাডারদের ক্যাডার পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, সেই ব্যাখ্যা মন্ত্রণালয়ই দেবে। তাদের কাছে থাকতে পারে। সুযোগ না থাকলে তো আর দিত না।’
ক্যাডারদের জন্য নির্ধারিত পদে নন-ক্যাডার বসতে পারেন কিনাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক শামিউল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি বিধিতে অনেক কিছুই থাকে। সেটি আবার পরিবর্তনও হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যারা আবেদন করে সবারটাই মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু মন্ত্রণালয় কীভাবে করেছে সেটা তারা বলতে পারবে। নন-ক্যাডার হয়েও অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করারও নজির আছে। সেটাই তো সমাধান হয়নি। এভাবে অনেকেই পদোন্নতি পাচ্ছে।’
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খন্দকার বলেন, ‘বিষয়টির দায়িত্বে আগে থাকলেও বর্তমানে আমি অন্য বিভাগে আছি। আর এটি নিয়ে কেউ কথাও বলবে না। একমাত্র সচিব মহোদয়ই বলতে পারেন।’
পরে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সঙ্গে টানা তিন দিন ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কারা পদোন্নতি পাবেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তা যাচাই-বাছাই করে মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। সে অনুযায়ী মন্ত্রণালয় নির্দেশনা জারি করে। তবে মন্ত্রণালয়েরও দায়বদ্ধতা আছে। সবকিছু যাচাই করে পদোন্নতি দেওয়া উচিত ছিল। তাহলে আর এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হতো না।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকার জরুরি প্রয়োজনে ২০১০ এবং ২০১১ সালে অ্যাডহক ভিত্তিতে প্রায় ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়। এদের মধ্যে পরবর্তী সময়ে বেশির ভাগ চিকিৎসক বিসিএস (স্বাস্থ্য) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিভিন্ন বিসিএসে (স্বাস্থ্য) যোগদান করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক চিকিৎসক ৩৩ বিসিএসে (স্বাস্থ্য) যোগদান করেন।
অ্যাডহক নীতিমালায় (১৯৯৪) বলা হয়েছে, কোনো অ্যাডহক বা নন-ক্যাডার চিকিৎসক পরবর্তী সময়ে ক্যাডারভুক্ত হলে সর্বশেষ বিসিএসে নিয়োগ পাওয়া সবশেষ ব্যক্তির পরে জ্যেষ্ঠতা পাবেন। এ কারণে অ্যাডহক নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসকদের মধ্যে পরবর্তীতে যারা বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়েছেন, তারা সবাই অ্যাডহক ছেড়ে বিসিএসে যোগদান করেন। বিসিএস (স্বাস্থ্য) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সব অ্যাডহক চিকিৎসক সিনিয়রিটি হারানোর ভয়ে বিসিএস দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে চাকরিতে যোগদান করেন।
অথচ ২০২২ সালে এসে ১৯৯৪ সালের অ্যাডহক বা নন-ক্যাডার ক্যাডারভুক্তির চাকরি বিধি পরিবর্তন করে অ্যাডহকে যোগদানের তারিখ থেকে ক্যাডারভুক্ত করার নতুন বিধি (ধারা ১৮) প্রণয়ন করা হয়েছে। অথচ সরকারি চাকরি, বিধি ১৯৮১ (সংশোধিত ২০২২) কখনোই ভূতাপেক্ষভাবে প্রয়োগের সুযোগ নেই। অধিকন্তু এই নতুন বিধি প্রণয়নের কারণে একই সঙ্গে বেশ কিছু অসঙ্গতি তৈরি হয়েছে।
ক্যাডার চিকিৎসকরা বলছেন, বিধি ভেঙে এমন পদোন্নতির ফলে আগের নীতিমালায় যারা জ্যেষ্ঠতা হারাবেন, যারা বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে চাকরিতে যোগদান করেছেন, তারা আর্থিক এবং সামাজিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। অথচ যারা বিসিএসে উত্তীর্ণ হতে পারেনি তারাই পরিবর্তিত আইনে বিসিএসে উত্তীর্ণ ব্যক্তির চেয়ে জ্যেষ্ঠতা পাচ্ছেন, যা সরকারি চাকরিতে কখনই হতে পারে না।
এর আগে ২০২০ সালে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআির) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) করা হলে প্রতিবাদ জানায় বিসিএস হেলথ অ্যাসোসিয়েশন। বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের শিডিউলভুক্ত পদে নন বিসিএস (স্বাস্থ্য) কর্মকর্তা পদায়ন বাতিলের দাবিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে চিঠিও দেয় তারা।
‘দ্য বিসিএস রিক্রুটমেন্ট রুলস ১৯৮১’ এবং ‘দ্য বিসিএস এক্সামিনেশন ফর প্রমোশন রুলস ১৯৮৬, এজ এমেনমেন্ড আপটু আগস্ট ১৯৯৯’ অনুযায়ী কাউকে অতিরিক্ত মহাপরিচালক হতে হলে তাকে অবশ্যই কমপক্ষে ১৮ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া অর্থ ও হিসাব শাখার পরিচালক, চিকিৎসা শিক্ষা জনশক্তি উন্নয়ন, প্রাইমারি হেলথ কেয়ার, রোগ নিয়ন্ত্রণ, কেন্দ্রীয় ঔষধাগার, আইপিএইচএন, আইপিএইচ, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালÑ এসব প্রতিষ্ঠানের যে কোনো একটির পরিচালক হিসেবে কমপক্ষে দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া মেডিক্যাল কলেজ, নিপসম, এনআইসিভিডি, এনআইও, আইডিসিএইচ অথবা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ বা অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কিন্তু এর কোনোটির অভিজ্ঞতা ছিল না সেব্রিনা ফ্লোরার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকারি সব ধরনের নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সেব্রিনা ফ্লোরাকে ওই পদে (অতিরিক্ত মহাপরিচালক) বসানো হয়েছিল। এমনকি পরবর্তী মহাপরিচালক হওয়া নিয়েও গুঞ্জন তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত আর হয়নি।’ চলতি বছর তাকে নিপসমের পরিচালক করা হয়েছে। জানতে চাইলে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আ ম সেলিম রেজা বলেন, ‘অন্যায় করলে, নিয়ম বহির্ভূতভাবে পদোন্নতি দেওয়া হলে অবশ্যই প্রতিবাদ করতে হবে। এতে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা আইনের আশ্রয় নেবেই। আইন অনুযায়ী পদোন্নতি দিলে সমস্যা হতো না। কিন্তু যখনই সেটির ব্যত্যয় ঘটনো হয়, তখনই সমস্যাটা দাঁড়ায়।’ -অনলাইন ডেস্ক