প্রতিনিধি ১৮ মে ২০২৩ , ১১:১৯:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ
(দিনাজপুর২৪.কম) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদ শূন্য ঘোষণা ও নির্বাচন নিয়ে রিট খারিজের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিলও খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে রিট আবেদনকারী আইনজীবী এম এ আজিজ খানকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আট বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এতে বলা হয়েছে, অযৌক্তিক রিট করে আদালতের সময় নষ্ট করায় আইনজীবী এম এ আজিজ খানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপন জারি করে। এ প্রজ্ঞাপনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে গত ৭ মার্চ একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান।
পরে ১৫ মার্চ বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন। ওইদিন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, রিটটি সরাসরি খারিজ হয়েছে। রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির জারি করা প্রজ্ঞাপন বৈধ।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি পদে সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা সংক্রান্ত ইসির প্রজ্ঞাপন নিয়ে আবদুল মোমেন চৌধুরী, কে এম জাবিরসহ সুপ্রিম কোর্টের ছয় আইনজীবী গত ১২ মার্চ পৃথক রিট করেন। ১৩ মার্চ বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চে এ রিটটি জমা দেওয়া হয়। ১৫ মার্চ বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন।
ওইদিন পৃথক দুটি রিটের ওপর শুনানি নিয়ে সেগুলো খারিজ করেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। রিট দুটি খারিজ করে হাইকোর্ট অভিমত দেন, রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ‘দ্য অফিস অব প্রফিট’ ধারণ করেন, কিন্তু এটি প্রজাতন্ত্রের কর্মে একটি লাভজনক (অফিস অব প্রফিট) পদ নয়। রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণের পদ্ধতি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে অন্যদের নিয়োগের মতো নয়। তদুপরি প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মে নিয়োজিত কর্মচারীদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের যেসব বিধান ও নিয়ম রয়েছে, সেগুলো রাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। -নিউজ ডেস্ক