• Top News

    আওয়ামী লীগ ওয়াদা ভঙ্গকারী দল: ফখরুল

      প্রতিনিধি ২১ মে ২০২৩ , ৬:৫৪:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

    বক্তৃতা করছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

    (দিনাজপুর২৪.কম) আওয়ামী লীগকে ‘ওয়াদা ভঙ্গকারী’ দল আখ্যা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নিজেদের অধিকার নিজেদের আদায় করতে হবে, বাইরে থেকে কেউ এসে দাবি পূরণ করে দেবে না।’

    রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে রোববার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাগপা।

    মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীল বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের অর্থনীতিকে খুবলে খুবলে খাচ্ছে। হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। অবশ্যই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। না হলে কারও অস্তিত্ব থাকবে না।’

    ফখরুল আরও বলেন, ‘১৯৯৬ সালে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছিল, তখন আজকের আওয়ামী লীগ অনেকগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেসব তো পূরণ করেইনি বরং সেখান থেকে দূরে সরে গেছে। তারা দুইটি ভুয়া নির্বাচন করেছে।’

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে কোনো ভোটার ভোট দিতে যায়নি। ২০১৮ সালেও নিশিরাতে ভোট করেছে এই আওয়ামী লীগ। আজ এই সরকার নির্বাচন ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন সিটি করপোরেশন নির্বাচন হচ্ছে, সেখানেও তারা কী করছে। এমন অবস্থায় আমাদের সিলেটের সাবেক নির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ভোট না করার ঘোষণা দিয়েছেন।’

    এ সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কারণ তারা নির্বাচনী প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এতগুলো মিডিয়া আছে কিন্তু স্বাধীনভাবে লিখতে ও বলতে পারে না। অসংখ্য সাংবাদিক দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। সাগর-রুনি দম্পতির চার্জশিট দিতে পারেনি। কেউ কথা বলতে পারে না চাকরির ভয়ে।’

    দেশের পরিস্থিতি ‍তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শফিউল আলম প্রধান একটি সাম্য ও মুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন এবং লড়াইও করেছেন। কিন্তু আজও সেই দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সুযোগ এই সরকার দিচ্ছে না। কারণ তারা তাদের মাথা বিক্রি করে দিয়েছে। আমরা ক্রান্তিকালে এসে দাঁড়িয়েছি।’

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখন সিদ্ধান্ত হবে বাংলাদেশ কি এখন গণতান্ত্রিক হবে নাকি পরনির্ভরশীল ও ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র হবে? একদিকে একটি শাসকগোষ্ঠী ও অন্যদিকে জনগণ। দেশের মানুষের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে সরকার। তারা অন্যায়ভাব র‌্যাব, পুলিশ ও দলীয় গুণ্ডা দিয়ে জনগণের আন্দোলন দমাতে চায়।’

    অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, দেশের গণতন্ত্র অবরুদ্ধ, মানবাধিকার ভুলুণ্ঠিত। যে কথা বলে তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়, নির্যাতন করা হয়। এই অবস্থায় এই অবৈধ, অগণতান্ত্রিক ও অনির্বাচিত সরকারকে আর সময় দেয়া যায় না। জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আন্দোলনের বিকল্প নেই।

    দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আব্দুস সালাম বলেন, এই হাসিনা সরকারের বিদায় করতে হলে আন্দোলনে নামা ছাড়া বিকল্প নাই। কারণ তারা নিজেদের দেশের মালিক মনে করছে। এদের আর সময় দেয়া যাবে না। যেখানে বাধা আসবে, সেখানেই পাল্টা আক্রমণ করতে হবে।

    সভাপতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান বলেন, দেশের আজ করুণ পরিস্থিতি। নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে নিত্যপণ্য। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর চলছে নির্যাতন নিপীড়ন। এই আওয়ামী লীগ সরকারকে আর সময় দেয়া যায় না।

    যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদত হোসেন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খন্দকার আবিদুর রহমান, আ স ম মেজবাহউদ্দিন, অধ্যক্ষ হুমায়ূন কবির ও যুগ্ম সম্পাদক ডা. আওলাদ হোসেন। -নিউজ ডেস্ক

    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

    আরও খবর

    Sponsered content