(দিনাজপুর২৪.কম) রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান তার ২০ বছর ক্ষমতার মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানোর জন্য তুরস্কের রাষ্ট্রপতির দৌড়ের শেষ ঘণ্টাগুলো ক্রমশ উত্তেজনাকর হয়ে উঠছে। রান-অফ ভোটের আগে বিরোধী প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলো লাখ লাখ সিরিয় শরণার্থীকে বহিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট আদায় করেছেন। খবর বিবিসি।
রোববার (২৮ মে) তুরস্কে হবে রান-অফ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আর এ নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে— আরও পাঁচ বছর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান থাকতে পারবেন কিনা।
প্রথম রাউন্ডের ভোটে বিরোধী প্রার্থী কেমাল কিলিচদারোগলো ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ভোটে পিছিয়ে ছিলেন। এরদোগান তাকে ঘৃণাত্মক বক্তব্যের জন্য অভিযুক্ত বলেছেন, কিলিচদারোগলো’র বিজয় মানে সন্ত্রাসীদের বিজয়।
সম্প্রতি এক গণনায় দেখা যায়, তুরস্কের জনসংখ্যা ৮৫ মিলিয়ন। এর মধ্যে কামাল কিলিচদারোগলো’র ২ দশমিক ৮ মিলিয়ন সমর্থক বা ৮ মিলিয়ন ভোটার প্রথম রাউন্ডে উপস্থিত হননি।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছে, ভোটারদের একটি সত্যিকারের পছন্দ থাকতে পারে থাকলেও তুরস্ক ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের মৌলিক নীতিগুলো পূরণ করেনি’। প্রেসিডেন্ট এরদোগান গত ছয় বছরে শুধু সুইপিং ক্ষমতা সংগ্রহ করেননি, তিনি ভিন্নমতের বিরুদ্ধে দমন করেছেন এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
দুই সপ্তাহ আগে বালা শহরে ৬০ শতাংশেরও বেশি ভোটার রাষ্ট্রপতি এরদোগানকে সমর্থন করেছিলেন এবং তুরস্কের প্রথমবারের মতো পাঁচ মিলিয়ন ভোটার রাস্তায় নেমে এসেছিল। এরকম নজির খুবই কম।
উল্লেখ্য, তুরস্কে গত ১৪ মে প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচন হয়। এতে মোট ভোটের ৪৯ দশমিক ৫১ শতাংশ ভোট পান এরদোয়ান। অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলো পান ৪৪ দশমিক ৫১ শতাংশ ভোট। যেহেতু তাদের কেউই এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট পাননি ফলে এ নির্বাচন রান-অফে গড়ায়। -ডেস্ক রিপোর্ট