প্রতিনিধি ১১ জুন ২০২৩ , ৬:২১:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ
(দিনাজপুর২৪.কম) শেষদিনে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ৭ উইকেট, ভারতের ২৮০ রান। আগের চারদিনের পারফরম্যান্স অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার জয়ই দেখেছিলেন বেশিরভাগ। যদিও আগেরদিন বিরাট কোহলি এবং আজিঙ্কা রাহানে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন লড়াইয়ের। তবে সেটির ছিটেফোঁটাও দেখা গেল না পঞ্চম দিনের সকালে। শেষদিনে মাত্র ২৩.৩ ওভার টিকতে পারে ভারত। ৯০ রান তুলতেই হারায় শেষ ৭ উইকেট। ৪৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা রোহিত শর্মার দল ২৩৪ রানে অলআউট হলে অস্ট্রেলিয়া জয় পায় ২৯০ রানের।
এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে হারল ভারত। এর আগে ২০২১ সালে আসরটির প্রথম ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করে দলটি।
ভারতের ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলীয় ২১২ রানে বিদায় নেন রাহানে। ব্যক্তিগত ৪৬ রান করে মিচেল স্টার্কের বলে ফেরেন তিনি। লেজের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেউই পরে আর টিকতে পারেননি। শেষ চার উইকেটের মধ্যে নাথান লায়ন একাই নেন ৩ উইকেট। তাতে ২৩৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি ভারত।
এর আগে টস হেরে প্রথম ইনিংসে ৪৬৯ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। আর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৯৬ রানে অলআউট হয় ভারত। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭০ রান করে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে অস্ট্রেলিয়া।
জেতার জন্য অবশ্য বিশ্ব রেকর্ড গড়তে হতো ভারতকে। তাছাড়া ওভালে বড় রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড খুব একটা ভালো না। ১৯০২ সালে সর্বোচ্চ ২৬৩ রান তাড়া করে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১ উইকেটে জিতেছিল ইংল্যান্ড। এটা তো গেল মাঠের রেকর্ডের কথা। জয়ের জন্য ভারতকে গড়তে হতো বিশ্বরেকর্ডই। টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০০৩ সালে অ্যান্টিগায় অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৪১৮ রানের লক্ষ্য ৩ উইকেট হাতে রেখে জিতেছিল ক্যারিবিয়ানরা।
২০১৩ সালের পর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট জিততে পারেনি ভারত। সেবার মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে এই ইংল্যান্ডের মাটিতেই আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছিল দেশটি। এবারও দেশটির মাটিতে বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট খেলছে ভারত। তবে ১০ বছরের আক্ষেপ ঘোচাতে পারল না রোহিত শর্মার দল। -নিউজ ডেস্ক