• Top News

    বিপৎসীমার ওপরে প্লাবিত তিস্তা ৫ দিনেই মরা খাল

      প্রতিনিধি ২৪ জুন ২০২৩ , ৯:২৮:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

    পানি কমে তিস্তার মাঝে ভেসে উঠেছে ফসলি জমি ও চর। গতকাল লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটি এলাকায়। ছবি: সংগ্রহীত

    (দিনাজপুর২৪.কম) বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার মাত্র ৫ দিনের মাথায় লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর পানি নেমে গেছে। পানি শুকিয়ে নদীটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পানিবৃদ্ধির কারণে তিস্তার আশপাশের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছিল। তবে দ্রুত পানি নেমে যাওয়ায় সেখানকার জমির ফসলগুলোতে প্রাণ ফিরেছে।

    শনিবার সকাল ৬টার দিকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও বিকেলে তা ৪১ সেন্টিমিটারের নিচে নেমে যায়। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নদীর আশপাশের ফসলি জমিতে নতুন রূপ দেখা গেছে। দীর্ঘদিন বৃষ্টিহীন আবহাওয়ার পর পানি পেয়ে ফসলগুলো তাজা হয়ে উঠেছে।

    পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য মতে, বিগত কয়েক দিনে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে থাকে। এ কারণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছিল। এতে নদীর আশপাশের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়। তবে এখন পানি কমতে শুরু করায় নদীতে চাষকৃত কৃষি পণ্যগুলো ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।

    সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় পানিশূন্য হয়ে পড়েছে খরস্রোতা তিস্তা নদী। কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও কোমর পানি রয়েছে। এর ফলে হারিয়ে গেছে তিস্তার সেই চিরচেনা সৌন্দর্য।

    এদিকে নদীতে ফসলি জমি ও চর ভেসে ওঠায় কৃষক ও নদীপাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। এখন তারা আবারও নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। তিস্তায় শেষ সম্বল হারিয়ে উঁচু এলাকায় চলে যাওয়া পরিবারগুলো আবার চরে ফিরতে শুরু করেছে। আর কৃষকরাও নতুন করে ফসল চাষাবাদে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন।

    তিস্তার দুই পাড়ে বসবাসকারীরা জানান, লালমনিরহাটে জেগে উঠেছে বেশ কিছু চর। তিস্তা এখন আর নদী নয়। এ যেন বিস্তীর্ণ আবাদি জমি। তিস্তার বুকে মাছ ধরতে নৌকা নিয়ে ছুটে চলা মাঝিমাল্লাদের দৌড়ঝাঁপ নেই। তবে অল্প কয়েকটি নৌকা খেয়া পারাপারের কাজ করছে।

    কালমাটি এলাকার আবুল হোসেন বলেন, ‘আমার ৮ দোন (বিঘা) জমির ফসল নদীতে ডুবে গেছিল। সেখানে ধানের বীজতলা, বাদাম ও ভুট্টা ছিল। কিন্তু পানি কমায় সেগুলো আবার ভেসে উঠেছে। আশা করছি, আর পানি না বাড়লে এসব ফসল ঘরে তুলতে পারব।’

    লালমনিরহাট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় সাধারণ মানুষ বন্যার আশঙ্কায় ছিলেন। কিন্তু পানি কমায় সে ভয় কাটিয়ে উঠেছেন তারা। এখন সাধারণ মানুষের ডুবে যাওয়া কৃষি জমিগুলোও ভেসে উঠেছে। -ডেস্ক রিপোর্ট

    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

    আরও খবর

    Sponsered content