প্রতিনিধি ২৭ জুন ২০২৩ , ৫:৩৯:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ
আকতার হোসেন বকুল (দিনাজপুর২৪.কম) প্রশিক্ষনের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন ছাড়াই অন্যের দেখে ও পরার্মশ নিয়ে দেশী-বিদেশী ঘাসচাষে সফল জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কৃষক। অন্য ফসলের তুলনায় ঘাস চাষে খরচ কম অপরদিকে লাভ বেশী এজন্য এ চাষে এগিয়ে আসছে অনেকেই। নিজের জমি না থাকায় অনেকেই রাস্তার পাশে ঘাসচাষ করে গবাদি পশুকে খাওয়ায় আবার অতিরিক্ত বাজারে বিক্রয় করছেন। কৃষি অফিস কৃষকদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সার ও বীজ প্রণোদনা দিলেও ঘাসচাষে প্রাণিসম্পদ অফিস এখন পর্যন্ত কিছুই দেয়নি অভিযোগ একাধিক কৃষকের। প্রশিক্ষন ও সরকারি প্রণোদনা পেলে আরো উন্নতি করা সম্ভব বলে কৃষক অভিমত প্রকাশ করেন। অনেকেই এখন জমি থেকে ঘাস কিনে বাজারে এবং বাড়ি বাড়ি ফেরি করে বিক্রি করছে।
উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের আটাপাড়া গ্রামের জামাল হোসেন বলেন, আমি বরাবর মাছচাষ করি। খাবার দাম বেশী হওয়ায় মাছচাষ কমে দিয়ে অন্যের দেখে ঘাসচাষ শুরু করেছি এবং ভালো লাভ করছি। তিনি বলেন, ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে ২ বিঘা জমিতে ঘাসচাষ করেছি। প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকায় অন্যের নিকট ঘাস বিক্রয় করে দেই। ঘাস কাটার পর লেভার দিয়ে গোড়ার আগাছাগুলো একটু চেঁচে দেয় আর সার দেই এতে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। আর খড়র সময় ঘাসে পানি দিতে হয় বলেও জানান তিনি। চেঁচড়া সীমান্তের একাধিক কৃষক বলেন, জমিতে একবার ঘাস লাগায়েছি এখন বছরের পর বছর ঘাস কাটাছি আর বিক্রয় করছি। কাটার পর শুধু সার আর পানি দেই মাস শেষে আবার ঘাস বড় হয়। প্রাণিসম্পদ অফিস যদি প্রশিক্ষন দিত আমাদের ভালো হত বলেন তারা। উপজেলার বরণ গ্রামের ইউপি সদস্য আবু ফয়সাল বলেন, আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো গরু আছে প্রথমে ঘাস বাজার থেকে কিনে খাওয়াতাম। এখন নিজেই ঘাসচাষ করে গরুকে খাওয়াচ্ছি এবং অতিরিক্ত বাজারে বিক্রয় করি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নিয়ায কাজমীর রহমান বলেন, এ ঘাস দুগ্ধ গাভিকে খাওয়ালে দুধ বেশী হয়। অপরদিকে গরু মোটাতাজা হয় ও গাভির প্রজœন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফর রহমান বলেন, এ ঘাসচাষ দিন দিন উপজেলায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলায় বতর্মানে ১৫ হেঃ জমিতে চাষীরা ঘাসচাষ করছেন।