• Top News

    আওয়ামী লীগকে প্রতিরোধ ছাড়া বিকল্প নেই: ফখরুল

      প্রতিনিধি ৩ জুলাই ২০২৩ , ৮:০৮:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    সংগৃহীত ছবি

    (দিনাজপুর২৪.কম) ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে প্রতিরোধ করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    রোববার রাজধানীতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি বলেন, ‘দলীয় নেতা-কর্মীদের আরও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। গত এক মাসে ৩৮৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একমাসেই এত গ্রেপ্তার, তাহলে বোঝা যাচ্ছে, তারা কী করতে যাচ্ছে। সুতরাং, প্রতিরোধ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এখন প্রতিরোধ করতে হবে।’

    নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্র দলের সভাপতি খালিদ হোসেন জ্যাকীসহ সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এ সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

    সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চাল-ডাল-তেল, বিদ্যুৎ-গ্যাস সবকিছুর দাম বেড়েছে। জনগণের পকেট খালি করে দেয়া হয়েছে। বাজেট দেয়া হয়েছে, সে বাজেটে শুধু বড়লোকদের আরও বড়লোক করার ব্যবস্থা নিয়েছেন। শ্রমিক, কৃষকদের জন্য কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি।’

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মরিচের অনেক দাম বেড়েছে। এক হাজার টাকা কেজি, মরিচের যে ঝাঁঝ তা এ সরকার আর সহ্য করতে পারছে না। আজ দেশের মানুষ বাঁচার অধিকার চায়। কৃষককরা এক মণ ধান বিক্রি করে এক কেজি মরিচ কিনছে। চাল, ডালসহ সকল পণ্যের দাম বেড়ে গেছে।’

    ‘এই সরকার বৈধ নয়’ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়। মানুষ ভোটই দিতে পারে না। নির্বাচন হবে কোথা থেকে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেয়া হয়েছিল। এখন আবার নির্বাচনের আগে তা করা হচ্ছে।

    বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘মানুষ এখন বলে, আগে জানলে এই ভাঙ্গা নৌকায় উঠবে না। দেশের প্রতিটি মানুষ নির্বাচন চায়। সেই নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে চায়। সেই নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। এটা প্রমাণিত, এই শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হতে পারে না।’

    নির্বাচনের আগেই কারসাজি শুরু হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘পুলিশ বদলি হচ্ছে, এসপি, ডিআইজি, ম্যাজিস্ট্রেট, ওসি বদলি হচ্ছে। কোনটা তার নিজের লোক সেটাও বুঝতে পারছে না। সব নিজের লোক বোঝাইতে চায়। পতনের সময় কোনো লোক কাছে পাবেন না, আস্তে আস্তে সব সরে যাবে। যখন পতনের সময় আসে, তখন আর কেউ নিজের লোক হয় না, এটাই হয়।’

    সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অবিলম্বে পদত্যাগ করেন। যতদিন যাবে ততদিন এ দেশের মানুষের ক্ষতি হবে, গণতন্ত্রের ক্ষতি হবে। সংসদ বিলুপ্ত করেন। তত্ত্বাবধায়ক বা নিরপেক্ষ সরকার, যাই বলেন না কেন, তা গঠন করে তাদের হাতে ক্ষমতা দিন। তারা একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন করবে। এটাই একমাত্র পথ। আর কোনো পথ নেই। এ ছাড়া আর পালাবার কোনো পথ থাকবে না। সময় আর থাকবে না। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করব, এটাই একমাত্র লক্ষ্য।’

    সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, ‘অনেক কথা বলেছেন আপনি (প্রধানমন্ত্রী)। র‌্যাব, পুলিশ, প্রশাসন আপনার চারদিকে আছে। এগুলোর জোরে তিনি কথা বলেন। একবার ক্ষমতা ছেড়ে কথা বলেন, দেখেন কী অবস্থা হয়। আজ জনগণের পেটে ভাত নেই, পকেটে টাকা নেই। জনগণ আর এই সরকারের কোনো কথা শুনবে না।’ -নিউজ ডেস্ক

    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

    আরও খবর

    Sponsered content