প্রতিনিধি ৬ জুলাই ২০২৩ , ৪:০৪:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ
(দিনাজপুর২৪.কম) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিলেন তামিম ইকবাল। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি। তবে বিদায় বেলায় সাংবাদিকদের সামনে অঝোরে কাঁদলেন দেশের ড্যাশিং এই ওপেনার।
গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ওপেনারের চোট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এরপরই অবসরের ঘোষণা দিলেন।
২০০৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি কেনিয়ার বিপক্ষে তামিমের ওয়ানডে ক্রিকেট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজের ঘরের মাঠে এই সংস্করণেই তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললেন তামিম।
তামিমের ৭০ টেস্টে ৩৮.৮৯ গড়ে রান ৫ হাজার ১৩৪। সেঞ্চুরি ১০টি, ফিফটি ৩১টি। টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ও সেঞ্চুরি তার।
ওয়ানডে ২৪১টি খেলে ৩৬.৬২ গড়ে রান ৮ হাজার ৩১৩। ১৪ সেঞ্চুরির পাশে এখানে ফিফটি ৫৬টি। এই সংস্করণে দেশের হয়ে রান, সেঞ্চুরি, ফিফটি, সবকিছুতেই তিনি সবার ওপরে।
৭৪ ম্যাচে ১ হাজার ৭০১ রান নিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলেছেন গত জুলাইয়েই। এই সংস্করণে দেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান তিনি।
এদিকে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১৫ হাজার রান করা দেশের একমাত্র ব্যাটসম্যান তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার সেঞ্চুরি ২৫টি। বাংলাদেশের হয়ে ২০ সেঞ্চুরিও নেই আর কারও।
সব মিলিয়ে ৩৭টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিম। জয়ের দেখা পেয়েছেন ২১টিতে। অন্তত ৫টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে সাফল্যের শতকরা হারে বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক তিনিই।
বাঁহাতি তারকা চারটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছেন। তবে বর্ণাঢ্য এই ক্যারিয়ারে নিশ্চিতভাবেই একটি বড় আক্ষেপ হয়ে থাকবে বিশ্বকাপ। কেননা ২৯ ম্যাচ খেলে তার সেঞ্চুরি নেই। চারটি ফিফটিতে ৭১৮ রান করেছেন কেবল ২৪.৭৫ গড়ে। ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৯ রান তাড়ায় ৯৫ রানের ইনিংসটিই বিশ্বকাপে তার ক্যারিয়ার। -নিউজ ডেস্ক