• Top News

    সরকার আদালতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে: ফখরুল

      প্রতিনিধি ৩ আগস্ট ২০২৩ , ৫:০২:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

    মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

    (দিনাজপুর২৪.কম) ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠা করতে সরকার আদালতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।

    জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘কিছুক্ষণ আগে আমাদের দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বর্তমান রাজনীতির অবস্থা তুলে ধরেছেন। প্রকৃতপক্ষেই ফ্যাসিবাদী চক্রান্ত। তারা প্রধান অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বিচার বিভাগকে। এই বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে তারা জনগণের মৌলিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকারগুলোকে পুরোপুরি হরণ নেওয়া হচ্ছে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা ইতোমধ্যে জানেন, বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে একটি মিথ্যা মামলায় দণ্ড দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বিস্ময় ব্যাপার- নিম্ন আদালতের যে কোর্টে তার সাজা হলো, হাইকোর্ট ১০ বছর সাজা দিয়ে দিল। অথচ একই ধরনের মামলায় আওয়ামী লীগের মন্ত্রীসহ বহু নেতা জামিন পেয়েছেন, পরবর্তীকালে মামলা খালাস হয়ে গেছে এবং মন্ত্রীও ছিলেন।’

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা ছিল। সেই মামলাগুলোতে দুর্নীতির একই ধরন ছিল। সেটাও ওয়ান ইলেভেনে দেওয়া হয়েছিল। সেই মামলাগুলো খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।’

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, এর আগে আমাদের এমপি ছিলেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সাতক্ষীরার তাকে ৭০ বছরের কারাদণ্ড  দেওয়া হয়েছে। এর আগে ঈশ্বরদীতে আমাদের নেতা মিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাদের অপরাধ ২৫-২৬ বছর আগে পাবনায় একটা সংঘাতের ঘটনা ঘটেছিল। এই ঘটনাগুলো মিডিয়ার মাধ্যমে এমনভাবে তারা প্রচার করছে যেন এগুলো সত্য, বাকিগুলো মিথ্যা। গণমাধ্যমকেও তারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।’

    বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বর্তমান বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রশ্নে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, জনগণ যে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, লাখ লাখ মানুষ কয়েক বছর ধরে এই সংগ্রামে নেমেছে। আপনারা লক্ষ্য করেছেন লাখ লাখ মানুষ রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছেন। তাদের লক্ষ্য একটাই গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সেই জন্য তারা সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন চেয়েছে। ঠিক সেই সময়ে চলমান আন্দোলনের যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যিনি এই আন্দোলনকে জনগণকে সম্পৃক্ত করে সারা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সঠিকপথে নিয়ে যাচ্ছেন, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব, তার স্ত্রী অরাজনৈতিক মানুষ ডা. জুবাইদা রহমানকে সাজা দেওয়া হয়েছে। একটি মাত্র লক্ষ্য আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেওয়া, তাকে ধীরগতি করা। যেখানে মামলাই হয় না, সেখানে সাজানো মামলা দিয়ে তাদের এই সাজা দেওয়া হয়েছে। প্রথম থেকেই এই সরকার আদালতকে ব্যবহার করছে। এই যে কেয়ারটেকার সরকার ইস্যুটি নিয়ে গভীর রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে তাও কিন্তু আদালতকে নিয়ে।’

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে বেআইনিভাবে এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই যে সাজা দেওয়া হয়েছে, ইতিমধ্যেই জনগণ তার প্রতিবাদ করেছে। গতকাল রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র দেশে প্রতিক্রিয়া হয়েছে এবং  লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে তার প্রতিবাদ করেছে। এই রায়ের প্রতিবাদে আমরা (বিএনপি) ৪ আগস্ট (শুক্রবার) সারা দেশে মহানগর ও জেলা পর্যায়ে বাদ জুম্মা প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা করছি। ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ এবং ঢাকা জেলার যৌথ উদ্যোগে নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ হবে দুপুর ২টায়।

    সংবাদ সম্মেলনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘গত ২৯ জুলাই শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে আমাদের ওপর যে হামলা হয়েছে, আমার মাথার আঘাতের চিহ্ন এখনো যায়নি। সরকার একটি অপরাধ করে তা ঢাকার জন্য নানা কাজ করে। কিন্তু সত্য সত্যিই থাকে, তাকে ঢাকা যায় না। -নিউজ ডেস্ক

    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

    আরও খবর

    Sponsered content