প্রতিনিধি ৫ আগস্ট ২০২৩ , ৬:১২:১১ প্রিন্ট সংস্করণ
(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শেখ কামাল ছিল বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। কামাল যখন মুক্তিযুদ্ধে যায়, তাকে কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন লেখাপড়া করার জন্য এবং তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে। কামাল কিন্তু তাতে রাজি হয়নি। সে বলেছিল, “আমি মুক্তিযুদ্ধ করতে এসেছি, আমি ট্রেনিং নেব”।’
আজ শনিবার বেলা ১১টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শহীদ শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ৮টি ক্যাটাগরিতে ১০ ব্যক্তি ও ২ প্রতিষ্ঠানের হাতে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২৩ তুলে দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ খেলাধুলায় বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে কিন্তু এর ভিত্তি রচনা করেছিল কামাল। সে যদি বেঁচে থাকতো এই সমাজকে অনেক কিছু দিতে পারতো। কারণ তার যে বহুমুখী প্রতিভাটা সেই প্রতিভা বিকশিত হয়ে দেশের সব অঙ্গনে অবদান রাখতে পারতো।’ ‘বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে তার যে অবদান রয়েছে তা চিরোদিন মানুষ স্মরণ করবে’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, ‘সাংস্কৃতিক জগতেও তার বহুমুখী প্রতিভা রয়েছে। চমৎকার উপস্থিত বক্তৃতা দিতে পারত। গানের গলা ছিল, ঘরে ঢুকলেই গুন গুন করে গানের আওয়াজ পাওয়া যেত। ক্রিকেট, হকি সহ বিভিন্ন খেলাধুলার সঙ্গে সে সম্পৃক্ত ছিল। তাছাড়া বড় কথা স্পন্দন শিল্পগোষ্ঠী সৃষ্টি করেছিল। খুব সুন্দর সেতার বাজাতো।’
তিনি বলেন, ‘শেখ কামাল ছিল নির্লোভ। সে সাধারণ জীবন-যাপন করতো। তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল যুবসমাজকে খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া এবং জাতির সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই মাসটি হচ্ছে শোকের মাস। আর এরই মাঝে এসেছে কামালের জন্মদিন। কামাল আমার ছোট। আমরা পিঠাপিঠি দুই ভাই বোন। আমরা খেলার সাথি, আন্দোলন-সংগ্রামেও এক সঙ্গে ছিলাম।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয়ভাবে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ উদযাপনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শেখ কামালের অবদানকে স্মরণীয় রাখার লক্ষ্যে এবং তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ ক্রীড়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, তাদের ‘শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার- ২০২৩’ প্রদান করা হচ্ছে।’ সম্মানজনক এ পুরস্কারপ্রাপ্ত সবাইকে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এ পুরস্কার ক্রীড়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আরও উৎসাহিত করবে এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রে চলমান অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করবে।’ -নিউজ ডেস্ক