• Top News

    অভিযোগ নিয়ে সবাই ডিবি কার্যালয়ে কেন, প্রশ্ন রিজভীর

      প্রতিনিধি ১০ আগস্ট ২০২৩ , ৫:৩৫:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    নয়াপল্টনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

    (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে শোবিজ অঙ্গনের তারকা, সবাইকেই অভিযোগ নিয়ে যেতে দেখা যায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

    আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে এবং বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমানসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধন করা হয়। এর আয়োজন করে বরিশাল বিভাগীয় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন।

    রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানসহ বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে সাজা দেওয়ার কারণ ক্ষমতা হারানোর আতঙ্ক। এ সরকার বিএনপিকে ভয় পায়। সরকার নির্বাচনে বিএনপিকে বাইরে রাখতেই সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুরোনো মামলায় তাদেরকে সাজা দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।

    তিনি বলেন,‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব ধারাই সাইবার সিকিউরিটি আইনে বিদ্যমান। এ আইনে মানহানি মামলায় সর্বনিম্ন জরিমানার বিধান করা হয়েছে ২৫ লাখ টাকা। শুধুমাত্র সরকারের অবাধ দুর্নীতি, লুটপাটের কথা যেন জনগণ বলতে না পারে তা আটকানোর জন্য এই আইন।

    সাইবার সিকিউরিটি আইনের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে আইসিটি আইন করেছিলেন। ১৮ সালে নির্বাচনের আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছিলেন। এবারে নির্বাচনের আগে সাইবার সিকিউরিটি আইন করলেন। কারণ কী? কারণ একটাই, জনগণের হাত-পা বেঁধে রাখা।

    ডিএমপির ডিবি কার্যালয়ের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে থানায় যাবে, ডিসির কাছে যাবে, পুলিশ কমিশনার ও আইজিপির কাছে যাবে। গোয়েন্দা কার্যালয়ে কেন? আসলে এ সংস্থাটি জনগণের সঙ্গে তামাশা ও বায়োস্কোপ করছে।

    তিনি বলেন, জনগণ আজ রাজপথে নেমেছে। গণতন্ত্র ও ভোটার অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বে না। সরকার গণআন্দোলনকে নসাৎ করার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র করছে, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

    আফম রশিদ দুলাল হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মুজিবুর রহমান সারোয়ার, কেন্দ্রীয় নেতা বিলকিস জাহান শিরিন, মীর সরাফত আলী সপু, মুনির হোসেন, কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, ফিরোজ তালুকদার, আনিসুর রহমান খোকন, আবুল হোসেন, আবু নাছের মো. রহমত উল্লাহ, হায়দার আলী লেলিন, হাসান মামুন প্রমুখ। মানববন্ধন পরিচালনা করেন মনির হোসেন ও আলতাফ হোসেন সরকার। -অনলাইন ডেস্ক

    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

    আরও খবর

    Sponsered content