(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন। কলেজ অধ্যক্ষের কাছে বিচার চাইতে গিয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়ায় উল্টো সাংবাদিকদের পিটিয়েছেন কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক ডা. সৈয়দ বাকী বিল্লাহ ও প্যাথলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রবীর কুমার সাহা। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পরে সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
সাংবাদিকদের প্রথমে চর থাপ্পড়, পরে চেয়ার দিয়ে পেটাতে থাকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ফয়জুল বাশার ও দুই চিকিৎসক।
শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী র্যাগিংয়ের শিকার হন বৃহস্পতিবার। তার বিচার চাইতে ওই ছাত্রী ও তার মা শনিবার সকালে যান কলেজ অধ্যক্ষের কাছে। এসময় সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার শাকিল মাহমুদ, চিত্র সাংবাদিক সুমন হাসানসহ চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের স্টাফ রিপোর্টার কাওছার হোসেন রানা , চিত্র সাংবাদিক রুহুল আমিন, এশিয়ান টেলিভিশনের রিপোর্টার ফিরোজ মোস্তাফা ও চিত্র সাংবাদিক আজিম শরিফ যান তথ্য সংগ্রহে। ভুক্তভোগীরা তাদের বক্তব্য সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরায় হঠাৎই সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় দুই চিকিৎসক। সাংবাদিকদের রুম থেকে বের করে দিয়ে র্যাগিংয়ের শিকার ওই ছাত্রী ও তার পরিবারকে আটকে রাখে দুই চিকিৎসক।
সময় টেলিভিশনের বরিশাল ব্যুরো রিপোর্টার শাকিল মাহামুদ জানান, ভুক্তভোগীর সাক্ষাৎকার নেয়ার সময় হঠাৎ করেই ডা. বাকী ও ডা. প্রবীর আমাদের উপর হামলা চালায়। আমাদের ক্যামেরা ও ট্রাইপড ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলার কারণ কি আমরা জানি না। র্যাগিং এর ঘটনা ধামাচাপা দিতে আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে।
চ্যানেল ২৪ এর স্টাফ রিপোর্টার কাওছার হোসেন রানা বলেন, আমরা সাক্ষাৎকারের জন্য বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমাদের উপর হামলা করাটা তাদের অপকর্ম ঢাকার প্রক্রিয়া। প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশ এসে গেট খোলে দুপুর ১টার দিকে। বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বলেন, হামলার ঘটনা উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। আমরা ঘটনার বিচার চাই। এদিকে এই ঘটনার পর দুপুর দেড়টায় পুলিশের মধ্যস্থতায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ও সাংবাদিক নেতারা আলোচনায় বসে। এরপর হামলাকারী দুই চিকিৎসক হামলার শিকার সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত ফয়জুল বাশার বলেন, ভুল বোঝাবুঝি থেকে ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, দুই পক্ষকে বসিয়ে বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে। শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজের ৫ম ব্যাচের নীলিমা হোসেন জুই ও তার সঙ্গীরা র্যাগিং করে তৃতীয় বর্ষের আরেক ছাত্রীকে। -নিউজ ডেস্ক
