• কৃষি ও কিষাণ

    কাহারোলে পাটের দাম কম হওয়ায় লোকসানে চাষীরা

      প্রতিনিধি ২৮ আগস্ট ২০২৩ , ৪:৫৪:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ

    দিলীপ কুমার রায় (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় পাটের দাম কম হওয়ায় লোকসানে পড়েছে পাট চাষীরা। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবছর পাট চাষে খরচ বেড়েছে দাম কমেছে। পাট চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিগত বছর গুলোতে পাটের দাম ছিল ২ হাজার ৮ শত থেকে ৩ হাজার টাকা কিন্তু এ বছর নতুন পাট উঠা শুরু হলে পাট বিক্রি হচ্ছে ২হাজার ৪শত টাকা। এতে করে বিগত বছরগুলোতে প্রতি মন পাটে ৮ শত টাকারও বেশি দাম পেয়েছে কৃষকেরা। গত বছর ভালো লাভ পাওয়ায় এবার উপজেলার পাট চাষিরা পাট চাষে আরো বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন কিন্তু ২ সপ্তাহের ব্যবধানে পাটের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১৬শত থেকে ১৮শত টাকা প্রতি মন দরে।
    কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে উপজেলায় এবার পাটের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ৭শত হেক্টর। পাটের আবাদ করতে গিয়ে এবার নানা বিরম্বনায় পড়েছেন কৃষকেরা। আবাদের সময় খড়ার কারণে পাট গাছগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া পাট কাটা মৌসুমের শুরুতে পানির অভাবে অনেক কৃষক পাট খেতের কাছে পাট জাগ দিতে পারেনি। এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে নিয়ে গিয়ে পাট জাগ দিতে হয়েছে অনেক কৃষককে এই জন্য প্রতি বিঘায় তাদের অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা। নানান ভাবে কৃষকের পাটে উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। গতকাল বলেয়া হাটে ভ্যানে করে ৩ মন পাট নিয়ে এসেছিলেন বলেয়া গ্রামের শহিদ আলী তিনি বলেন আমার পাটের মান ভালো তাই আমি ২হাজার টাকা মন দরে বিক্রি করলাম। তিনি আরো বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিমন পাটের দাম ৮শত টাকা থেকে ১ হাজার টাকা কম। পাটের দাম কমার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলার পাট ব্যবসায়ী শহিম উদ্দীন বলেন, আজ পর্যন্ত ৩শত মন পাট কিনেছি। কিন্তু পাটের বাজার নিয়ে আমরা কিছুটা সংশয়ে রয়েছি।
    কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মল্লিকা রানী সেহান বীশ বলেন, বর্তমানে গত বছরের তুলনায় পাটের দাম কিছুটা কম হলো এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে এতে করে কৃষকের লাভ হবে কিন্তু ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা নেই।

    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

    আরও খবর

    Sponsered content