• Top News

    বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য কৌশলগত সংলাপ: তারেককে ফেরানোর সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে

      প্রতিনিধি ২৮ আগস্ট ২০২৩ , ৬:৪৬:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ

    (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের ৫ম কৌশলগত সংলাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি ফিলিপ বার্টন দেশটির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।

    কূটনৈতিক সূত্র জানায়, আসন্ন সংলাপে ঢাকার পক্ষ থেকে বন্দি বিনিময় ও মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স (এমএলএ) বিষয়ে জোর দেয়া হবে। তা ছাড়া যুক্তরাজ্য থেকে নির্বাচন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারে জোর দেবে।

    বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার ৫ম কৌশলগত সংলাপ নিয়ে গতকাল রোববার একটি আন্তমন্ত্রণালয় সভার আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরের কর্মকর্তারা এতে অংশ গ্রহণ করেন। বৈঠকে অংশ নেয়া এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এমন কিছু অপরাধী রয়েছেন যারা যুক্তরাজ্যে অপরাধ করে বাংলাদেশে চলে আসেন। আবার কিছু অপরাধী রয়েছেন যারা বাংলাদেশ থেকে অপরাধ করে যুক্তরাজ্যে গিয়ে বসবাস করছেন। দুই দেশেই অপরাধীদের শাস্তি ও বিচারের আওতায় আনতে ঢাকা ও লন্ডন আগেই একমত হয়েছিল। তবে আলোচনার পরে বিষয়টি আর এগোয়নি। এবারের সংলাপে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।’

    উল্লেখ্য, বাংলাদেশের আদালতে সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, অবৈধ অস্ত্র ও জাল টাকা রাখার মামলায় সাজা হওয়া সেনাবাহিনীর সাবেক কর্নেল শহীদ উদ্দিন খানসহ বেশ কয়েকজন এ মুহূর্তে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশের আদালতে তাদের পলাতক দেখানো হয়েছে।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, বন্দি বিনিময় ও এমএলএ আইনি কাঠামোতে চূড়ান্ত হলে সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীসহ অপপ্রচারকারীদের ফেরত এনে বিচারের মুখোমুখি করা যাবে। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি বাস্তবায়ন করবে।

    এর আগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দুই দেশের চতুর্থ কৌশলগত সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যে অপরাধীরা যাতে নিরাপদে থাকতে না পারেন তা আইনি কাঠামোতে নিয়ে আসতে বন্দি বিনিময় ও এমএলএ বিষয়ে ওই বৈঠকেই একমত হয়েছিল দুই দেশ।

    ‘কৌশলগত সংলাপে যুক্তরাজ্যের অগ্রাধিকার নিয়ে জানতে চাইলে সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ওদের এজেন্ডা এখনো পুরোপুরি চূড়ান্ত হয়নি। তবে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়ে জোর দেবে যুক্তরাজ্য। তারা এ দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়- সেটা জোর দিয়ে বলে আসছে। তারা এমন একটি সহায়ক পরিবেশ চায় যাতে সব দল নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত হয়। বিষয়টি তারা অন্যান্য পশ্চিমা দেশের মতোই সরকারকে জানিয়ে আসছে।’

    সূত্র জানায়, জলবায়ু পরিবর্তন, দক্ষ অভিবাসন, যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বাংলাদেশে সুযোগ দেয়া এবং যৌথ সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা প্রশিক্ষণ, দুই দেশের সামরিক কর্মকর্তাদের সফর বিনিময়, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা, আঞ্চিলক ও বৈশ্বিক ভূরাজনীতি নিয়ে আলাপ করবে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য।

    সূত্র জানায়, আসন্ন কৌশলগত সংলাপে টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা (এসডিজি), রোহিঙ্গা সংকট, আগামী বছর দুই দেশের মধ্যকার প্রতিরক্ষা সংলাপ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) ও সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ), নারীর ক্ষমতায়ন, অভিবাসন, উচ্চশিক্ষা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ব্যবসায়িক পরিবেশ, শ্রম অধিকার ও পরিস্থিতি, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল (আইপিএস), ইউক্রেন সংকট, শান্তিরক্ষায় সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও অর্থায়নের মতো বিষয়গুলোতে অলোচনা হবে। সেই সঙ্গে জবাবদিহিমূলক শাসন ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে সুশীল সমাজের সংকুচিত স্থান, মত প্রকাশ ও ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়টি বৈঠকে আলোচনায় আসবে। -নিউজ ডেস্ক

    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

    আরও খবর

    Sponsered content