প্রতিনিধি ২৯ আগস্ট ২০২৩ , ৮:৪৪:২২ প্রিন্ট সংস্করণ
(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) নতুন কোল ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন ও বর্তমান ফেইসে কয়লা না থাকায় আগামী দুইমাসের জন্য উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করছে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি।
আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করছেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মাইন অপারেশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (চলতি দায়িত্ব) খান মো. জাফর সাদিক। আগামীকাল বুধবার থেকে উৎপাদন বন্ধ করবে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১ হাজার ১১৩ ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। ওই ফেস থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিকটন কয়লা উত্তোলনের পর উৎপাদিত কয়লা বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়েছে। এই ফেসে মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন ফেসে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য আগামীকাল খনি থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ করা হবে।
মো. জাফর সাদিক জানান, ১ হাজার ১১৩ ফেসের কয়লার মজুদ শেষ হওয়ায় এবং নতুন ফেস ১ হাজার ৪১২ চালু করার জন্য যন্ত্রপাতি স্থানান্তর করার জন্য আগামীকাল থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। নতুন ফেইসে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও চালু করতে প্রায় দুই মাস সময় লাগবে। আশা করা যাচ্ছে সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবরের শেষ নাগাদ নতুন ফেস থেকে আবারও উৎপাদন চালু করা সম্ভব। ধারণা করা হচ্ছে নতুন ফেস থেকে প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার মেট্রিকটন কয়লা পাওয়া যাবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, বর্তমানে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিটটি চালু আছে। যা থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৮০ থেকে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়ে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। ইউনিট চালু রাখতে প্রতিদিন ২ হাজার মেট্রিকটন কয়লা প্রয়োজন হয়। বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ইয়ার্ড ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইয়ার্ডে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিকটন কয়লা মজুদ রয়েছে। যা দিয়ে প্রায় দুই মাস তাপ বিদ্যুতের এই ইউনিটটি সচল রাখা সম্ভব।