• Top News

    তীব্র ঠান্ডা- ঘন কুয়াশায় পচছে সবজি : চাষীদের মাথায় হাত

      প্রতিনিধি ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ , ৭:৪৫:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

    আব্দুস সালাম, হেড অব নিউজ (দিনাজপুর২৪.কম) পৌষ মাসের শুরুতে পড়েছে তীব্র শীত। ইতোমধ্যে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় এবং ঘন কুয়াশায় পচতে শুরু করেছে আলু ও শিমগাছের পাতা পচে যাচ্ছে সেই সাথে অন্যান্য শীতকালীন সবজিতেও পচন শুরু হয়েছে। তাই রাসায়নিক ছিটিয়ে শিমগাছ রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন অনেক কৃষক। প্রচন্ড শীত আর ঘন কুয়াশায় দিনাজপুরে পচে যাচ্ছে শিম, লাউ, ফুলকপি, করলা, আলু, শাকসহ বিভিন্ন রবি শস্য। ফসল রক্ষায় সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেও কোন কাজ হচ্ছে না। ফলে কৃষকদের দিন কাটছে হতাশায়।
    দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ১৩ হাজার ৭৮৮ হেক্টর জমিতে সবজি উৎপাদনের লক্ষমাত্রার বিপরীতে ১৪ হাজার ২৪৬ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছে। শীতকালীন শাকসবজির চাষ হয়েছে। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, বৈরি আবহাওয়ায় রবি ফসল রক্ষায় প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আর আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, জানুয়ারির শুরুতেই টানা শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়বে দেশ। এবার দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাহিদার চেয়েও বেশি রবি শস্য চাষ করেছে কৃষক। টানা বন্যার কারণে অন্য সময়ে সবজির বাজার ছিল চড়া। এ কারণে এবার সবজি চাষ করা হয় বেশি। কিন্তু মৌসুমের শুরুতেই তীব্র ঘন কুয়াশায় কৃষকের স্বপ্নের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নষ্ট ফসল ও পাতা পচা রোগ থেকে বাঁচাতে কয়েক দফা কীটনাশক প্রয়োগ করেও মিলছে না প্রতিকার। দিনাজপুর সদর উপজেলার রামসাগর এলাকার ঘুঘুডাঙ্গার সবজি চাষি হবিবর বলেন, ‘২ বিঘা জমিতে আলুসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেছি। ঘন কুয়াশা ও শীতে শিম গাছের পাতা লাল হয়ে পচে যাচ্ছে। কীটনাশক দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। গাছ বাঁচাতে না পারলে বিশাল আর্থিক ক্ষতি হয়ে যাবে।’ শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে জমির ফসল নিয়ে একইভাবে চিন্তিত কমলপুর ইউনিয়নের আলু চাষি জব্বার ও গনি, বেগুন চাষি মানিক, মুলা চাষি মহির ও পেঁয়াজ চাষি ফরিদ। স্থানীয়রা জানায়, গত মৌসুমে ভালো দাম পেয়ে এবারও শত শত বিঘা জমিতে সবজি চাষ করেন কৃষক। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ায় আলুগাছের পাতা কুঁচকে যাওয়াসহ দেখা দিয়েছে নানান জনিত রোগ।

    দিনাজপুরের ১৩ উপজেলার মধ্যে দিনাজপুর সদর, বিরল, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, কাহারোল, খানসামা, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ ঘোড়াঘাট এলাকা সবজি চাষের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। এসব উপজেলায় বছরজুড়েই রকমারি সবজির চাষ হয়। এর মধ্যে আদিতমারি ও সদরে সবজি চাষের পাশাপাশি উৎপাদন করা হয় সবজির চারা। নির্দিষ্ট অঞ্চল ছাড়াও জেলার অন্য উপজেলাগুলোতেও কমবেশি সবজি চাষ হয়ে থাকে। সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের বাসুদেব গ্রামের কৃষকরা জানান, শীতকালীন সবজি আবাদে ফলন ভালো হয় এবং কৃষক লাভের মুখ দেখেন। তবে আবহাওয়ার একটু হেরফের হলে সবজির ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বাড়তি বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশা হলে ফসলের ক্ষতি হয়। এবার সেই ঝুঁকিতেই পড়েছেন তারা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক প্রদীপ কুমার গুহ বলেন, ‘কৃষি কর্মকর্তারা চাইলেও সব ক্ষেতে যেতে পারবে না। কৃষকদের মোবাইল নম্বর দেয়া আছে। এছাড়াও আমরা কৃষকদের মধ্যে পরামর্শপত্রও বিতরণ করছি।

    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

    আরও খবর

    Sponsered content