প্রতিনিধি ২৪ ডিসেম্বর ২০২১ , ৭:৪১:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ
(দিনাজপুর২৪.কম) ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামে একটি লঞ্চে গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত বেড়ে ৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন শতাধিক যাত্রী। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ওই লঞ্চের কেবিনে সস্ত্রীক ছিলেন পাথরঘাটার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ। এ সময় নিজে লাফিয়ে প্রাণে রক্ষা পেলেও লঞ্চের রেলিংয়ে ধাক্কা লেগে তার স্ত্রী উম্মুল ওয়ারার পা ভেঙে গেছে।
ইউএনও মুজাহিদ বলেন, তিনি ওই লঞ্চের নীলগিরি নামে একটা ভিআইপি কেবিনে ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী। তারা ঢাকা থেকে ফিরছিলেন।
তিনি বলেন, ঢাকায় দাপ্তরিক কাজ সেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে লঞ্চে ওঠেন। রাত ৩টার দিকে লঞ্চের অন্য যাত্রীদের চিৎকারে ঘুম ভাঙে।
ইউএনও মুজাহিদ বলেন, ‘তখন ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যাই। তড়িঘড়ি করে রুম থেকে বের হয়ে লঞ্চের সামনে যাই। লঞ্চটি এ সময় সুগন্ধা নদীর মাঝখানে ছিল। অনেককেই নদীতে লাফিয়ে পড়তে দেখা গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরাও ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন লঞ্চ থেকে লাফ দিই। কোথায় পড়ছি তা জানি না। তখন তৃতীয় তলা থেকে দোতলায় পড়ে যাই। এ সময় উম্মুল ওয়ারার ডান পা ভেঙে যায়।’
পরে স্থানীয়রা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে জানান ইউএনও।
ধারণা করা হচ্ছে, ইঞ্জিন রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। -অনলাইন ডেস্ক