প্রতিনিধি ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ , ৯:৩১:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ
(দিনাজপুর২৪.কম) সৌন্দর্যবর্ধন, ফ্যাশনদুরস্ত বা শারীরিক ত্রুটি নিরাময় করতে অনেকেই প্লাস্টিক সার্জারি করে থাকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এ ধরনের সার্জারিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এক. প্লাস্টিক সার্জারি (plastic surgery); দুই. কসমেটিক সার্জারি (cosmetic surgery)।
প্রয়োজনীয় শারীরিক ত্রুটি সারাতে যে সার্জারি করা হয়, তাকে প্লাস্টিক সার্জারি বলা হয়। ইসলাম এর অনুমোদন দিয়েছে। যেমন—পোড়া বা আঘাতজনিত ক্ষত সারিয়ে তোলা, ক্যান্সারে আক্রান্ত অঙ্গ বা টিউমার অপসারণের পর ক্ষতস্থানে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা অথবা ঠোঁট কাটা, তালু কাটা, অতিরিক্ত আঙুল বা অন্যান্য জন্মগত ত্রুটি দূর করা। হাদিস শরিফ থেকে এ ধরনের অপারেশন বা সার্জারির অনুমতির ইঙ্গিত পাওয়া যায়। একটি হাদিসে এসেছে, ‘কুলাব যুদ্ধে সাহাবি আরফাজা বিন আসয়াদ (রা.)-এর নাক কেটে যায়। তিনি রুপার একটি কৃত্রিম নাক বানিয়ে নেন। কিন্তু এতে দুর্গন্ধ দেখা দেয়। পরে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদেশে একটি সোনার নাক বানিয়ে নেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪২২৬)
সুতরাং বোঝা গেল, প্রয়োজনীয় শারীরিক ত্রুটি সারাতে সার্জারি করা বৈধ। (তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম : ৪/১৯৫)
সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং নিজেকে আরো আকর্ষণীয় করার জন্য যে সার্জারি করা হয়, তাকে কসমেটিক সার্জারি বলে। যেমন—নাক, চিবুক, ঠোঁট, চোখের পাতা, কান, স্তন—এসব অঙ্গ সার্জারি করে আকর্ষণীয় করে তোলা। ইসলাম এটাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি মানুষকে উত্তম অবয়ব দিয়ে সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা : ত্বীন, আয়াত : ৪)
এর পরও নিজেকে অনাকর্ষণীয় মনে করে আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন সাধিত করা হারাম। কোরআনে এটাকে শয়তানের কর্ম বলা হয়েছে। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ ওই নারীর ওপর অভিশাপ দিয়েছেন, যে অন্য নারীর মাথায় কৃত্রিম চুল সংযোজন করে বা নিজ মাথায় চুল সংযোজন করায়; আর যে নিজের শরীরে উল্কি আঁকে বা অন্যকে আঁকিয়ে দিতে বলে। (বুখারি, হাদিস : ৫৯৩৭)