প্রতিনিধি ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ , ৬:১৯:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ
(দিনাজপুর২৪.কম) প্রতিবেশীদের চলাচলের জন্য এককভাবে জায়গা দিতে রাজি না হওয়ায় মাজেদা বেগম নামের এক নারীর পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাঁশের বেড়া দিয়ে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে পরিবারটিকে। জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার দাশড়া সরাইল গ্রামে অমানবিক এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেয়ে ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও তাৎক্ষণিক কোনো সমাধান করতে পারেননি। এ অবস্থায় সন্তানদের নিয়ে অসহায় নারী মাজেদা বেগম অবরুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
মাজেদা বেগম জানান, পৈত্রিক ও ক্রয় সূত্রে ৩৯ শতক জায়গার ওপর বাড়ি করে সন্তানদের নিয়ে তিনি বসবাস করছেন। গ্রামের প্রভাবশালী কয়েকজন প্রতিবেশী তার জায়গার ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করেন। এতে বাধা দিলে সন্তানসহ তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা ছাড়াও নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়। তারপরও মাজেদা জায়গা না দেওয়ায় প্রভাবশালীরা তার চলাচলের দীর্ঘদিনের রাস্তা বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেন। এতে প্রায় এক সপ্তাহ থেকে তারা অবরুদ্ধ জীবনযাপন করছেন। বিষয়টি সমাধানে মাজেদা বেগম স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনকে অবহিত করেন। অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারমানকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তবে গত সাত দিনেও এ বিষয়ে কোনো সমাধান মেলেনি।
মাজেদার মেয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাতেমা ইয়াসমিন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, রাস্তা নির্মাণে নয়, বাধা দেওয়া হয়েছে এককভাবে আমাদের জায়গা নেওয়ার। আমাদের দাবি ছিল, উভয়পক্ষের জায়গা দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করার। এই দাবি জানাতে গিয়ে প্রতিবেশীরা মা-সহ আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং বাড়ির চারদিকে বাঁশের বেড়া দিয়ে আমাদের অবরুদ্ধ করে।
গ্রামবাসী আজিজার রহমান বলেন, দীর্ঘদিন থেকে গ্রামের মানুষরা মাজেদা বেগমের বাড়ির পশ্চিম পাশের জায়গা দিয়ে চলাচল করে আসছে। গ্রামে চলাচলের সুবিধার্থে সরকারিভাবে রাস্তাটি পাকা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু ওই নারী তার জায়গা দিয়ে রাস্তা নির্মাণে বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবেশীরা তার বাড়ির সীমানা ঘেঁষে বাঁশের বেড়া দিয়েছেন।
স্থানীয় তুলশিগঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাইকুল ইসলাম বলেন, ওই গ্রামে সকলের চলাচলে রাস্তার জন্য যে জায়গার প্রয়োজন সেটা জমির মালিকদের সাথে আলোচনা করে এর স্থায়ী সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বহী অফিসার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, বিষয়টি জানার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।-অনলাইন ডেস্ক