• সারাদেশ

    হত্যার পর নিজেই ৯৯৯-এ ফোন দেন খুনি!

      প্রতিনিধি ২ জানুয়ারি ২০২২ , ৪:০৩:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    নিহত এনামুল হোসেন।

    (দিনাজপুর২৪.কম) সাভারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এনামুল হোসেন (৩০) নামের এক ফার্নিচার শ্রমিককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন তুষার নামের এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় তাসকিন হোসেন নামের অন্য আরেকজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরে স্থানীয়দের হাত থেকে বাঁচতে নিজেই ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে জানায় খুনি।

    রবিবার (২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক এখলাস উদ্দিন।

    এর আগে শনিবার রাত ১০টার দিকে সাভারের রাজফুলবাড়িয়া শোভাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তুষারকে আটক করা হয়েছে। তিনি একই এলাকার মোশাররফের ছেলে। তার বিরুদ্ধে এর আগে রাজধানী ও সাভার মডেল থানায় চারটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    নিহত এনামুল ফুলবাড়িয়ার শোভাপুর এলাকার মিনু মিয়ার ছেলে। তিনি সাভারের নাভানা ফার্নিচারের শোরুমে কাজ করতেন। আহত তাসকিন একই এলাকার বাসিন্দা। সে এবার এসএসসি পাস করেছে।

    পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে তুষারসহ কয়েকজন অটোরিকশায় করে যাচ্ছিলেন। এ সময় সড়কের পাশে ফার্নিচার শ্রমিক এনামুল ও তাসকিন দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের সড়ক পাশ থেকে সরে সাইড দেওয়ার বিষয় নিয়ে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে রিকশা থেকে তুষারসহ কয়েকজন তাদের হামলা করে। এ সময় তুষার তাদের ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। স্থানীয়দের মারধর থেকে বাঁচতে বাড়ি থেকে ৯৯৯-এ কল করে তুষার নিজেই বাঁচার আকুতি জানান।

    এ ঘটনায় ঘটনাস্থলেই এনামুল মারা যান এবং তাসকিন জখম হয়। তসকিনকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল লাইভ সাপোর্টে ভর্তি করা হয়েছে।

    আহত তাসকিনের মামাতো ভাই লুৎফর রহমান পাভেল বলেন, তাসকিনের বুকে, পেটে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এখন লাইভ সাপোর্টে আছে।

     সাভার মডেল থানার এসআই এখলাস উদ্দিন ফরাজী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তুষারকে আটক করেছে পুলিশ। সামান্য কথা-কাটাকাটির জেরে এ ঘটনা ঘটেছে  বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। নিহতের বোন মিনারা বেগম বাদী হয়ে তুষারসহ চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।-অনলাইন ডেস্ক

    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

    আরও খবর

    Sponsered content