প্রতিনিধি ৮ জানুয়ারি ২০২২ , ১:৫৮:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার (দিনাজপুর২৪.কম) পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪, বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র ৪ এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ৩ ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নে লাঙ্গল প্রতিক নিয়ে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছেন ওই প্রার্থী। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ীরা হলেন- ১নং নশরতপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. আব্দুল ওহাব বিএসসি অটোরিকশা প্রতিকে ৪ হাজার ৭২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র (বিএনপি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. নুর-এ-আলম সিদ্দিকী নয়ন মোটরসাইকেল প্রতিকে ৪হাজার ৬২০ হাজার ভোট পেয়েছেন। ২নং সাতনালা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি) বর্তমান চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক শাহ আনারস প্রতিকে ৫ হাজার ২২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জামায়াতের মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মোটরসাইকেল প্রতিকে ৪ হাজার ৪৮৮ ভোট পেয়েছেন। ৩নং ফতেজংপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ লুনার নৌকা প্রতিকে ৮ হাজার ৮০২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি) মো. মাসুদ রানা মোটরসাইকেল প্রতিকে ৬ হাজার ১৯০ ভোট পেয়েছেন। ৪নং ঈসবপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আবু হায়দার লিটন নৌকা প্রতিকে ৫ হাজার ৮৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. শফিকুল ইসলাম লিটন আনারস প্রতিকে ৪ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়েছেন। ৫নং আব্দুলপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি) বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. ময়েনউদ্দিন শাহ্ আনারস প্রতিকে ৯ হাজার ৯৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. মোকলেছুর রহমান নৌকা প্রতিকে ৮ হাজার ৫৮ ভোট পেয়েছেন। ৬নং অমরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. ইকবাল হোসেন কাজী মোটরসাইকেল প্রতিকে ৬ হাজার ৩৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হেলাল সরকার নৌকা প্রতিকে ৫ হাজার ৭৯৯ ভোট পেয়েছেন। ৭নং আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের মো. আব্দুর রহিম মোটরসাইকেল প্রতিকে ৮ হাজার ৯৩৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটকম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হাসিবুল হাসান নৌকা প্রতিকে ৮ হাজার ৪০১ ভোট পেয়েছেন।
৮নং সাঁইতাড়া ইউনিয়নে সন্তোষ কুমার রায় নৌকা প্রতিকে ৫ হাজার ৩১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি) বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মোকারম হোসেন শাহ্ আনারস প্রতিকে ৫ হাজার ১৭১ ভোট পেয়েছেন। ৯নং ভিয়াইল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি) মো. আব্দুর রাজ্জাক শাহ্ চশমা প্রতিকে ৯ হাজার ২৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান চেয়ারম্যান নরেন্দ্র নাথ রায় নৌকা প্রতিকে ৬ হাজার ৭৯ ভোট পেয়েছেন। ১০নং পুনট্টি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. নূর-এ কামাল নৌকা প্রতিকে ৯ হাজার ১২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি অধ্যক্ষ মো. রেজাউল করিম রেজা আনারস প্রতিকে ৭ হাজার ৭৬৮ ভোট পেয়েছেন।
১১নং তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে (বিএনপি) স্বতন্ত্র মো. আজগার আলী আনারস প্রতিকে ৪ হাজার ৯৪৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি দীর্ঘ ২০ বছরের বর্তমান চেয়ারম্যান সুনীল কুমার সাহা নৌকা প্রতিকে ৪ হাজার ৬০০ ভোট পেয়েছেন। ১২নং আলোকডিহি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র মো. তাজউদ্দিন হোসেন শাহ্ আনারস প্রতিকে ৩ হাজার ৯৩৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি মীর্জা লিয়াকত আলী বেগ (লিটন) মোটরসাইকেল প্রতিকে ৩ হাজার ৫৬৯ ভোট পেয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার আলহাজ্ব আব্দুল মালেক তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ১০৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৮০৪ জন সহকারী প্রিজাইডিং ও ১ হাজার ৬০৮ জন পোলিং অফিসার এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উপজেলায় নির্বাচন শতভাগ নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৭২৯ জন পুলিশ ও ১ হাজার ৮৫৩ জন আনসার নিয়োজিত ছিলেন।