প্রতিনিধি ১৩ জানুয়ারি ২০২২ , ৬:১৪:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ
(দিনাজপুর২৪.কম) জাল নোট যখন এক দেশ থেকে অন্য দেশে পাচার হয়, তখন যে সেটা বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে, তা বলাই বাহুল্য।
বুধবার যুগান্তরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতীয় রুপির সুপার নোট (অবিকল আসলের মতো) কারবারে জড়িত আন্তর্জাতিক চক্রের সন্ধান পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা।
উদ্বেগজনক তথ্য হলো, চক্রের সদস্যরা বাংলাদেশকে ব্যবহার করেছে ট্রানজিট রুট হিসাবে। বিভিন্ন অঙ্কের নোটের চালান বাংলাদেশে এনে ভারতে পাচার করত তারা। জানা গেছে, পাকিস্তানের একটি কারখানায় ছাপানো এ নোট অন্য পণ্যবাহী কনটেইনারে শ্রীলংকা হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে এনে খালাস করা হতো। এরপর সড়কপথে পৌঁছে দেওয়া হতো ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে। তারাই নিজস্ব লোক দিয়ে স্থলপথে নোটগুলো ভারতে পাচার করত। এ কাজে জড়িত চক্রের অন্তত ১০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করাও সম্ভব হয়েছে।
জানা গেছে, করোনা মহামারির সময় এ জাল নোটের কারবার বন্ধ ছিল। চক্রটি ফের তাদের তৎপরতা শুরু করেছে। সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে শ্রীলংকা হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা কনটেইনার ভর্তি সুপার নোটের একটি চালান আটক করা হয়েছে। আবু তালেব নামে বাংলাদেশের এক ব্যক্তি মোজাইক পাথরের কনটেইনারের আড়ালে আনত সুপার নোটের চালান। পাকিস্তান থেকে শ্রীলংকা হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে চালান খালাসের পর তা ডেমরা এলাকায় গোডাউনে তোলা হতো। সেখান থেকে সুযোগ বুঝে আবু তালেব নিজের লোকজন দিয়ে ভারতে পাচার করত চালান। একইসঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে চালান পৌঁছে দিত অন্য এক ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে। এ চক্রের চোরাই পণ্য হাতবদলের বিষয়টি ছিল সিনেমার চোরাচালান দৃশ্যের মতোই। এই অপরাধী চক্রের কোনো কোনো সদস্য একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও বিভিন্ন কৌশলে পুনরায় অবৈধ কাজে যুক্ত হয়।
কাস্টমসের চোখকে ফাঁকি দিয়ে সুপার নোটের চালানগুলো কিভাবে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিল, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আমদানির বিষয়টি নতুন নয়। কাজেই এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। আলোচিত অপরাধীরা যেহেতু একইসঙ্গে অনেক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল, সেহেতু অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। যারা তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করত, তাদেরও চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।-অনলাইন ডেস্ক