• বিনোদন

    জায়েদ খানের সঙ্গে খুন হওয়া শিমু’র সম্পর্ক কী রকম ছিল?

      প্রতিনিধি ১৯ জানুয়ারি ২০২২ , ১১:১৮:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    (দিনাজপুর২৪.কম) সোমবার সকাল ১০টায় চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধারের পর থেকেই আলোচনায় উঠে আসে জায়েদ খানের নাম। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের নাম জড়ানোর পেছনে বেশ কিছু কারণও রয়েছে। জায়েদের কমিটি যে ১৮৪জন শিল্পীকে সমিতির তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন তাদেরই একজন শিমু। যিনি মিশা-জায়েদ কমিটির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শিমু হত্যায় জায়েদ খান জড়িত বলে গুজবও প্রচারিত হয়েছে। প্রচার করা হয় জায়েদ খানের সঙ্গে শিমুর বাদ-বিবাদের সম্পর্ক ছিল। কলহপূর্ণ সেই সম্পর্কের কারণেই খুন হয়েছেন শিমু। এমনকি ১২ দিন আগেও শিমুর সঙ্গে জায়েদের ঝগড়া হয়েছে বলে শোনা যায়।

    এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন জায়েদ খান। জায়েদ খান বলেন, ‘শিমুর হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাই আমি। আমি র‍্যাবকে ধন্যবাদ জানাই যে, তারা ইতিমধ্যে আসামিকে ধরে ফেলেছে। গতকাল বিকেলে আমি যখন শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত তখন শিমুর ভাই আমাকে পাশে ডেকে নিয়ে বললেন, জায়েদ ভাই, কাল থেকে শিমুকে খুঁজে পাচ্ছি না। কলাবাগান থানায় জিডি করেছি। আপনার সহযোগিতা চাই। আমি তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে সহযোগিতার হাত বাড়াই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আমার ভাই নাজমুলকে বিষয়টি জানাই। শিমুর ফোননম্বর দিয়ে তার সর্বশেষ লোকেশনটা কোথায় তা জানতে বলি। এরপরেই নাজমুল জানান, কেরানীগঞ্জে শিমুর ডেডবডি পাওয়া গেছে।’

    অভিযোগ নিয়ে জায়েদ খান বলেন, ‘ঘটনার পর পর আমাকে জড়ানোর ষড়যন্ত্র চলছে। বলা হচ্ছে, ১২দিন আগে শিমুর সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়েছে। অথচ গত দুই বছর ধরে আমার সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নাই।’

    কেন তাকে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়ানো হচ্ছে প্রশ্নে জায়েদ খান বলেন, চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির নির্বাচনকে সামনে রেখে এসব নোংড়ামি চলছে আর অপপ্রচার হচ্ছে। শিল্পী সমিতির নির্বাচনের সঙ্গে এই হত্যার কি সম্পর্ক? অনেকেই শিল্পীর ভাইয়ের বাসায় গিয়ে তাকে আমার বিরুদ্ধে বলার জন্য প্ররোচনা দিয়েছেন। নির্বাচনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বীরা ঘটনাটিকে পুঁজি করেছে। -ডেস্ক রিপোর্ট

    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।