প্রতিনিধি ২৮ জানুয়ারি ২০২২ , ৬:৩৯:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ
আব্দুস সালাম, হেড অব নিউজ (দিনাজপুর২৪.কম) জনগণ ভোটের মাধ্যমে যাকেই মনে করবেন তাকেই তারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন এমনটাই নিয়ম। কিন্তু নৌকা মার্কা প্রতীক নিয়ে বিরল উপজেলার ৯নং মঙ্গলপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট যুদ্ধে অংশগ্রহন করছেন মোঃ সেরাজুল ইসলাম। আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থীগণ মনে করি জনগণ তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে তাদের মনোনীত প্রার্থীদেরকে বিজয়ী করবেন কিন্তু চেয়ারম্যান প্রার্থী সেরাজুল ইসলাম এলাকার ভোটারদের ভয় পাচ্ছেন বলে আমরা মনে করছি, কারণ গত ২৫ শে জানুয়ারী মঙ্গলবার আনুমানিক রাত্রি ১০টার দিকে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বিপদগামীরা একই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস মার্কা মোঃ আবুল কাশেমের উপর, প্রচারকর্মী, সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এরপর চলাচলের রাস্তাটিও গাছের গুড়ি দিয়ে বন্ধ করে দেয়। বলতে গেলে এক প্রকার আমাদেরকে চারিদিকে ঘেরে রেখেছিল তারা। হঠাৎ করে আমার নির্বাচনী প্রচারণার গতিরোধ করে চালানো হয় হামলা ও মারধর। এমতাবস্থায় আমাদের অনেক প্রচারকর্মী-সমর্থক দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ ব্যাপারে রিটানিং অফিসার বিরল, দিনাজপুর বরাবর এবং বিরল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কোন প্রকার আইনি প্রতিক্রিয়া না পাওয়ায় আমরা প্রার্থীরা হাতাশায় ভুগছি। আদৌ কি অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন হবে, নাকি হবে না?
অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিনাজপুর বিরল উপজেলার ৩নং ধামইর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আনারস মার্কা প্রতীকের মোঃ লাইসুর রহমান বলেন, আমাদের ৩নং ধামইর ইউনিয়নের পিপল্লা এলাকায় গত ২৫ শে জানুয়ারী মঙ্গলবার আনুমানিক দুপুর ১.৩০/২ টার দিকে প্রচার কর্মীদের অহেতুক আটক, ভয়ভীতি প্রদর্শন, লিফলেট, ব্যানার ছিড়ে দিয়ে হয়রানি করছেই চলেছেন নৌকা মার্কার পদপ্রার্থী মোঃ মসলেম উদ্দীনের সহকর্মীরা। যা মোটেও আইন সংগত ও নির্বাচনী বিধিমালার মধ্যে পড়ে না। অবশ্যই তারা আইন লংঘন ও ভঙ্গ করেছেন বলে আমরা মনে করছি।
দিনাজপুর বিরল উপজেলার ৮নং ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ঘোড়া মার্কা প্রতীকের মোঃ নূর ইসলাম বলেন, গত ২৭ শে জানুয়ারী বৃহঃস্পতিবার আনুমানিক রাত্রি ৮টার দিকে কালিয়াগঞ্জ বাজারে প্রচার কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালান নৌকামার্কা পদপ্রার্থী শ্রী সাবুল চন্দ্র সরকারের সহকর্মীরা। এতে ৫ জন গুরুতর আহত হয়, ১-২-৩নং ওয়ার্ড নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বিভিন্ন রকমের বাধার সৃষ্টি করছেন। ব্যানার, লিফলেট ছিড়ে ফেলেছেন। যা বিরল কালিয়াগঞ্জ বাজারের স্থানীয় লোকজন স্বচক্ষে দেখেছেন ও জানেন। এ ব্যাপারে দিনাজপুর বিরল উপজেলা রিটার্নিং অফিসার সহ পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর বিরল উপজেলা রিটার্নিং নির্বাচন অফিসার মোঃ আব্দুল কুদ্দুস সরকার জানান, এ বিষয়গুলো আমি শুনেছি অভিযোগ পেয়েছি প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগনকে অবগত করেছি যেই প্রার্থীদের উপর অভিযোগ করা হয়েছে তাদের আমরা শোকজ করেছি আমরা সার্বক্ষনিক দৃষ্টি রাখছি যাতে করে নির্বাচনী বিধিমালা লঙ্ঘন না করা হয়। যদি কেউ নির্বাচনী বিধিমালা লংঘন ও ভঙ্গ করে সে সকল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।