প্রতিনিধি ২৯ জানুয়ারি ২০২২ , ১০:৩৪:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ
পাকিস্তানে পাবজিতে আসক্ত এক কিশোর তার মা ও তিন সহদোরকে গুলিতে হত্যা করেছে বলে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত জেইন আলিকে (১৪) আটকের পর সে স্বীকারোক্তি দেয় বলে জানায়।
ওই কিশোর পুলিশকে বলেছে সে জনপ্রিয় অনলাইন গেম পাবজি খেলত। এ গেম দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সে তার মা এবং তিন ভাইবোনকে হত্যা করে।
পুলিশ এক সপ্তাহ আগে লাহোরের কাহনা এলাকার এলডিএ চকে তাদের বহুতল বাড়ির একটি কক্ষে ওই কিশোরের মা স্বাস্থ্যকর্মী নাহিদ মোবারক (৪৫) তার ভাই তৈমুর সুলতান (২০) এবং বোন মাহনূর ফাতিমা (১৫) ও জান্নাতের (১০) মরদেহ উদ্ধার করে।
এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা ডনকে বলেন, আলি তার অপরাধ স্বীকার করেছে। সে পাবজিতে আসক্ত ছিল এবং এ অনলাইন গেম খেলতে বেশিরভাগ সময় তার ঘরে কাটাতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, নাহিদ একজন তালাকপ্রাপ্তা ছিলেন। তিনি প্রায়ই ছেলেকে পড়াশোনায় মনোযোগ না দেওয়ায় এবং বেশিরভাগ সময় পাবজি খেলায় ব্যয় করার জন্য উপদেশ দিত।
তারা জানায়, ঘটনার দিন, নাহিদ বিষয়টি নিয়ে ছেলেটিকে বকাঝকা করে। পরে ছেলেটি আলমারি থেকে তার মায়ের পিস্তল বের করে এবং তাকে এবং তার অন্য তিন ভাইবোনকে ঘুমের মধ্যে গুলি করে হত্যা করে। পর দিন সকালে প্রতিবেশীরা পুলিশকে ডাকে। তখন ওই কিশোর পুলিশকে বলে সে বাড়ির ওপরের তলায় ছিল এবং কীভাবে তার পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে তা জানে না।
ঘটনার তদন্তে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ওই দিন ছেলেটি ঘণ্টার পর ঘণ্টা পাবজি খেলার পরে একটি লক্ষ্য মিস করে। তখন সে তার ‘চেতনা হারিয়ে ফেলে। তারপর পিস্তলটি নিয়ে মায়ের ঘরে চলে যায়। যেখানে মা তার অন্যান্য বাচ্চাদের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল। .
তিনি জানান, আলি প্রথমে তার মাকে গুলিতে হত্যা করে এবং তারপর তার দুই বোনকে গুলি করে। গুলির শব্দ শুনে তার বড় ভাই রুমে প্রবেশ করলে আলি তাকেও গুলি করে। ঘটনাস্থলেই সবার মৃত্যু হয়। তারপর সে ওপর তলায় নিজের রুমে চলে যায়। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তারপর বাসা থেকে বের হয়।
পুলিশ জানায়, আল এরপর কাছের একটি ড্রেনে পিস্তলটি ছুড়ে ফেলে। এরপর বাসায় ফিরে ঘুমিয়ে থাকার ভান করে। পুলিশ তদন্তকারীরা তার বিভ্রান্তিকর আচরণের কারণে তাকে সন্দেহ করে। তাকে কয়েক দিন পর্যবেক্ষণের পর আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, তারা সম্ভাব্য সব উপায়ে অন্বেষণ করেও কিছু খুঁজে পাচ্ছিল না। পরে পুলিশ অবশেষে আলীকে পারিবারিক হত্যার সন্দেহে আটক করেছে। রক্তের একটা ছাপ অভিযুক্ত আলির ঘর পর্যন্ত গেলে পুলিশ তাকে সন্দেহ করে। তার জামাকাপড়েও রক্তের দাগ পাওয়া গেছে। -ডেস্ক রিপোর্ট