প্রতিনিধি ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৭:৫৯:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ
এক বছর পরেই চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার কথা ছিল সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার নিহত হাবিবুর রহমানের। স্বপ্ন ছিল পটুয়াখালী শহরের বহালগাছিয়ায় নিজের গড়া বাড়ি ‘সেনা নিকেতন’-এ পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কাটাবেন অবসরকালীন সময়।
কিন্তু হাবিবুরের সেই স্বপ্ন প্রদীপ নিভে গেল বুধবার রাতে বান্দরবানের রুমা জোনের সেনা টহল দলের সঙ্গে সন্তু লারমা সমর্থিত জেএসএস মূলদলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ের ঘটনায়।
(দিনাজপুর২৪.কম) নিহত হাবিবুরের স্বপ্নের বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে উঠানেই চলছে মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি। বিকেলে জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে এখানেই দাফন করার কথা।
এদিকে হাবিবুর রহমানের মৃত্যুর খবরে তার বাড়িতে দেখা গেছে আত্মীয়-স্বজনসহ শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভিড়। কান্নায় ভারী হয়ে উঠে পুরো এলাকা।
সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানের পৈতৃক বাড়ি জেলার মহিপুর থানার লতিপুর এলাকায় হলেও পটুয়াখালী শহরের ১নং ওয়ার্ডের বহালগাছিয়ায় বাড়ি করে তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করেছেন।
নিহত হাবিবুরের বাবা-মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছেন। ছোট ছেলেও সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে বর্তমানে কক্সবাজারের কর্মরত আছেন।
নিহত হাবিবুরের বড় ছেলে হাসিবুর রহমান বলেন, ‘পাহাড়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যা থাকায় বাবার সঙ্গে সব সময় কথা বলতে পারতাম না। উনি যখন ফোন করতেন তখনই কথা বলতে পারতাম।’
‘গত রাতেও আব্বার সাথে কথা হয়েছে। আব্বা বলেছে, কোনো ভুল করলে ক্ষমা করে দিও; একটা অভিযানে যাচ্ছি। এরপর আজ বৃহস্পতিবার সকালে খবর আসলো বাবা আর নেই’ যোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বান্দরবানের রুমার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্তু লারমা সমর্থিত জেএসএস মূলদলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে মাথায় আঘাত লেগে নিহত হন সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান। পায়ে গুলি লেগে আহত হন এক সৈনিক। গোলাগুলিতে তিন সশস্ত্র সন্ত্রাসীও নিহত হয়। -ডেস্ক রিপোর্ট