প্রতিনিধি ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৭:১৮:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ
(দিনাজপুর২৪.কম) দলছুট এক বন্যহাতিকে তাড়াতে গিয়ে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে মো. রহমত উল্লাহ (২৮) নামে এক বনকর্মী নিহত হয়েছেন। এ সময় ওই বন্যহাতি বেশ কিছু বাড়ি ভাঙচুর করেছে এবং ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি করেছে। নিহত মো. রহমত আলী ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রিংভং ছগিরশাহকাটা এলাকার আবদুস সালামের ছেলে। তিনি ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের অধীনে বিলিজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এদিকে, দলছুট বন্যহাতিকে তাড়াতে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ ও বনবিটের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং চকরিয়া থানা পুলিশের পৃথক টিম কাজ করছে।
জানা গেছে, আজ সোমবার ভোরের দিকে দলছুট বন্যহাতিটি চকরিয়া উপজেলার ভেওলা মানিকচর (বিএমচর) ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মধ্যবর্তী এলাকার খিলছাদকে এই তাণ্ডব চালায়।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল হান্নান বলেন, ভোররাতের দিকে একটি দলছুট বন্যহাতি বিএমচরের পাহাড়িয়া পাড়ার সবজি ক্ষেতে অবস্থান করছিল। সকালে কৃষকরা মাঠে গেলে বন্যহাতিকে দেখতে পায়। পরে খবর পয়ে সাফারি পার্ক, ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ ও বনবিটের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতি তাড়ানো চেষ্টা করে।
এ সময় দলছুট বন্যহাতিকে তাড়ানোর জন্য বনবিভাগের কর্মী রহমত আলী খড়ে আগুন লাগিয়ে ওই হাতির দিকে নিক্ষেপ করে। পরে হাতিটি ফিরে এসে রহমতকে পা দিয়ে পিষ্ট করে আহত করে। বনবিভাগ ও পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ প্রসঙ্গে ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তা ও বিলিজারদের নিয়ে হাতিটিকে বনে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। এ সময় দলছুট বন্যহাতিকে ফেরাতে গিয়ে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে বনবিভাগের কর্মী রহমত আলী মারা যায়। হাতিকে বনে ফেরাতে এখনো চেষ্টা চালানো হচ্ছে। -অনলাইন ডেস্ক